প্রযুক্তি ডেস্ক : তুরস্ক সরকারকে সহযোগিতা করতে রাজি হওয়ায় দেশটিতে আবারও চালু হয়েছে ইনস্টাগ্রাম। ২ আগস্ট নিজেদের ‘আইন’ ও জনসংবেদনশীলতা মানতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ করে দেয় তুরস্ক। এর আগে হামাস নেতা ইসমাইন হানিয়া’র হত্যা সংশ্লিষ্ট পোস্ট ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তুরস্কের এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা। এ ছাড়া, গাজায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে তুরস্ক, যেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি পশ্চিমাদের ইসরায়েলের ওপর নিঃশর্ত সমর্থনেরও সমালোচনা করেছে দেশটি। তবে, নয় দিনের এ নিষেধাজ্ঞা জারির বিপরীতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশটিতে থাকা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা ও প্ল্যাটফর্ম থেকে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা বিভিন্ন ছোট ব্যবসা।
ডেটা প্ল্যাটফর্ম ‘স্ট্যাটিস্টা’র তথ্য অনুসারে, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনায় নিলে, পাঁচ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারী নিয়ে তুরস্কের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এক্ষেত্রে শীর্ষ চারটি দেশ হল ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়া।
“ইনস্টাগ্রাম কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার ফলস্বরূপ, আমরা এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেব, যেখানে তারা ‘ক্যাটালগ’ শ্রেণির অপরাধ ও ব্যবহারকারীদের ওপর আরোপ করা সেন্সরশিপ নিয়ে আমাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে,” এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন দেশটির পরিবহন ও অবকাঠামো মন্ত্রী আবদুলকাদির উরালোগলু। তুরস্কের আইনে, ‘ক্যাটালগ’ শ্রেণির অপরাধের মধ্যে রয়েছে হত্যা, যৌন নিপীড়ন, মাদক দ্রব্য পাঁচার, অপব্যবহার ও নির্যাতনের মতো ঘটনাগুলো। “ইনস্টাগ্রামের মালিক কোম্পানি মেটা তুরস্কের আইন মেনে চলার বিষয়ে রাজি হয়েছে। আর স্রেফ অপরাধ বা “সন্ত্রাসবাদ প্রচার”-এর ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে কনটেন্ট অপসারণের নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।” এ প্রসঙ্গে রয়টার্স ইনস্টাগ্রামের মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষনিক সাড়া মেলেনি।