ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি

  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও এনাটমি মিউজিয়াম কমপ্লেক্স। এর মাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে, অর্গানগুলোতে গন্ধ তৈরি না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সহজেই গবেষণা করতে পারবে। বুধবার (৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনাটমি বিভাগের অধীনে প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও এনাটমি মিউজিয়াম কমপ্লেক্সটির উদ্বোধন করা হয়। বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক এর উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, এনাটমি একটি কঠিন ব্যাপার হলেও এটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি বেসিক বিষয়। তাই এনাটমিতে দক্ষ না হলে ভালো চিকিৎসক হওয়া সম্ভব নয়। তাই দক্ষ চিকিৎসক হওয়ার জন্য এনাটমিও ওপর পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি। তিনি বলেন, এই পদ্ধতির ওপর একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হলে সমগ্র দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে, যা মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালুর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানু, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীমসহ বিভাগের সব শিক্ষক, রেসিডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। প্রচলিত পদ্ধতিতে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফরমালিনের রেখে সংরক্ষণ করা হয় এবং সেখান থেকে পরবর্তীতে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি প্রচলিত পদ্ধতির থেকে একটু আলাদা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করা হয়। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে ফরমালিন ছাড়াও এখানে এসিটোন এবং সিলিকন ব্যবহার করা হয়, যার ফলে মূল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অথবা অর্গানের মত বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে তৈরি দেহের অর্গানগুলোতে কোনো গন্ধ তৈরি হয় না যার ফলে শিক্ষার্থীরা হাতে নিয়ে সহজেই গবেষণা করতে পারে। বাংলাদেশের ভেতরে এটিই প্রথম ল্যাব যেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি

আপডেট সময় : ১১:৪৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও এনাটমি মিউজিয়াম কমপ্লেক্স। এর মাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে, অর্গানগুলোতে গন্ধ তৈরি না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সহজেই গবেষণা করতে পারবে। বুধবার (৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনাটমি বিভাগের অধীনে প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও এনাটমি মিউজিয়াম কমপ্লেক্সটির উদ্বোধন করা হয়। বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক এর উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, এনাটমি একটি কঠিন ব্যাপার হলেও এটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি বেসিক বিষয়। তাই এনাটমিতে দক্ষ না হলে ভালো চিকিৎসক হওয়া সম্ভব নয়। তাই দক্ষ চিকিৎসক হওয়ার জন্য এনাটমিও ওপর পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি। তিনি বলেন, এই পদ্ধতির ওপর একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হলে সমগ্র দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে, যা মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালুর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানু, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীমসহ বিভাগের সব শিক্ষক, রেসিডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। প্রচলিত পদ্ধতিতে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফরমালিনের রেখে সংরক্ষণ করা হয় এবং সেখান থেকে পরবর্তীতে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি প্রচলিত পদ্ধতির থেকে একটু আলাদা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করা হয়। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে ফরমালিন ছাড়াও এখানে এসিটোন এবং সিলিকন ব্যবহার করা হয়, যার ফলে মূল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অথবা অর্গানের মত বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে তৈরি দেহের অর্গানগুলোতে কোনো গন্ধ তৈরি হয় না যার ফলে শিক্ষার্থীরা হাতে নিয়ে সহজেই গবেষণা করতে পারে। বাংলাদেশের ভেতরে এটিই প্রথম ল্যাব যেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।