ঢাকা ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেড় দশক পরও আইলার ক্ষত

  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

খুলনা সংবাদদাতা : দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে ১৪টি বছর। তবুও উপকূলীয় উপজেলা কয়রা আর দাকোপের মানুষ এখনো ঘূর্ণিঝড় আইলার কথা মনে পড়লে আতকে ওঠে। উপকূলের বাসিন্দারা এখনো সেই ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। আইলার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল একটি শাখা নদী। যে কারণে বিঘার পর বিঘা জমি হারাতে হয়েছিল কয়রার বাসিন্দাদের। এলাকাবাসী জানায়, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের ক্ষত শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ২০০৯ সালের ২৫ মে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে আইলা। ছয়/সাত বছর লেগে যায় সেই পানি নেমে যেতে। আইলার কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের পবনা এলাকায় নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে মঠবাড়ী গ্রামকে দুইভাগে বিভক্ত করে একটি শাখা নদী তৈরি হয়েছিল। ওই নদী শাকবাড়িয়া খালের সঙ্গে মিশেছে। আর চাষযোগ্য প্রায় তিনশ বিঘা জমি নদীতে পরিণত হয়। যে নদীর গভীরতা প্রায় ৩৫ ফুট। পবনার বাঁধ মেরামত হলেও শাকবাড়িয়ায় ১৪ বছরেও বাঁধ নির্মাণ সম্ভব না হওয়ায় এখন ১৬০ মিটার দীর্ঘ নদী ভাসমান ড্রামের ভেলা দিয়ে পার হতে হয় এলাকাবাসীকে। নদীর অপরপাড়ে প্রতাপ স্মরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ মঠবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও সুপেয় পানির পুকুর মূল এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সুপেয় পানির প্রয়োজনে কিংবা ক্লিনিকে সেবাগ্রহীতাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হলো নৌকা। কিন্তু খেয়া পারাপারের জন্য কোনো নৌকাও থাকে না। ফলে ওই এলাকার চার হাজার মানুষের দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। অবশেষে ড্রাম দিয়ে তৈরি করা একটা ছোট ভেলা এখন তাদের পারাপারের সম্বল। এলাকাবাসী জানায়, নদীতে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে দিয়েই অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও শিক্ষার্থীদের নদী পার হতে হচ্ছে ড্রাম দিয়ে বানানো সেই ভেলাতে করে। একদিকে নদী পার হওয়ার ঝুঁকি, অন্যদিকে, চাষযোগ্য জমি, বসতবাড়ি, সহায়-সম্পদ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা এলাকাবাসী এখন অপেক্ষায় আছেন কবে স্থায়ী বাঁধ মেরামত করা হবে সেই আশায়।
মহারাজপুরের মতোই দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের পাথরখালীর মানুষ। পাথরখালীর বাসিন্দা তরিকুল, মোসলেম সানা, সিরাজুল ইসলাম সানা জানান, পাথরখালী খালের ওপরে যাতায়াতের একমাত্র সেতুটিও ধ্বংস হয়ে যায় আইলায়। বিলীন হয়ে যায় শত বিঘা জমি। খালের উত্তর পাড়ের বতুলবাজার, পাথরখালী, মাঝেরপাড়া গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও দৈনন্দিন হাটবাজারের জন্য দক্ষিণ পাড়ের রতœাঘেরী গ্রামে ও বড়বাড়ী বাজারে আসতে হয়। এছাড়া দক্ষিণ পাড়ের বাসিন্দারা ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিকাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ওপাড়ে যান। বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হয়ে সম্প্রতি স্থানীয়রা ভাসমান ড্রাম সেতু তৈরি করেছেন। এ অবস্থায় একটি টেকসই ব্রিজের দাবি এলাকাবাসীর। আইলা পরবর্তী দীর্ঘ ১৪ বছর মঠবাড়ী গ্রামের নদীর বেড়িবাঁধের ওপর বসবাস করছেন ইসমাঈল গাজী ও তার স্ত্রী। ইসমাঈল বলেন, আইলায় আমাদের কয়েক কাঠা জমির ওপর থাকা বাড়িঘর এখন খালে। তাদের মতো মঠবাড়ীর ইউনুস গাজী, ইলিয়াস গাজী, মজিবর, জিয়াও বসতবাড়ি-জমি হারিয়ে বাঁধের পাশে বসবাস করছেন। মহারাজপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবু সাঈদ বিশ্বাস বলেন, আমার ওয়ার্ডের প্রায় চার হাজার মানুষ কমিউনিটি সেবা, সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। বিদ্যালয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শাকবাড়িয়ার পাশ দিয়ে একটি বাঁধের ব্যবস্থা করতে পারলে পারাপারের দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি খালে বৃষ্টির পানি আটকে রাখা সম্ভব হবে। খালের মিষ্টি পানি দিয়ে দুইপাশের প্রায় দুই হাজার বিঘা এক ফসলি জমিতে দুই ফসল চাষ করা সম্ভব হবে। কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, পবনা থেকে শাকবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ ফসলি জমি ভেঙে খাল হয়ে যায়। সেখানে বাঁধ দেওয়া প্রচুর ব্যয়বহুল হওয়ায় স্থানীয়ভাবে করা সম্ভব হয়নি। বড় ধরনের প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে বাঁধের ব্যবস্থা করা গেলে জনগণ উপকৃত হবে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান বলেন, উপজেলার সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কীভাবে কী করা যায় সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এদিকে, কয়রার মতোই দুর্ভোগে আছেন উপকূলের দাকোপ উপজেলার কামারখোলা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। ওই ইউনিয়নের জালিয়াখালি এলাকায় ওয়াপদার রাস্তার ওপরে বসবাসরত অনিশেষ বিশ্বাস, রাতুল বিশ্বাস, শ্রীপদ দেবনাথ বলেন, আমাদের ভিটামাটি আইলায় নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সেই থেকেই বাঁধের ওপর ঝুপড়ি তুলে বসবাস করছি। মাঝেমধ্যে কিছু সাহায্য সহযোগিতা পেলেও জমি ফিরে পাওয়ার কোনো উপায় নেই। দাকোপের সুতারখালির ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির বলেন, নলিয়ান এলাকার প্রায় ১৪ কিলোমিটার ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এলাকায় ঠিকমতো ফসল হয় না। আমার এলাকার প্রায় দুই হাজার পরিবার এখনো ওয়াপদার রাস্তার ওপর বাস করছে। ২০০৯ সালের ২৫ মে দুপুরে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জনপদে ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’ আঘাত হানে। এতে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা তছনছ হয়ে যায়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেড় দশক পরও আইলার ক্ষত

আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

খুলনা সংবাদদাতা : দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে ১৪টি বছর। তবুও উপকূলীয় উপজেলা কয়রা আর দাকোপের মানুষ এখনো ঘূর্ণিঝড় আইলার কথা মনে পড়লে আতকে ওঠে। উপকূলের বাসিন্দারা এখনো সেই ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। আইলার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল একটি শাখা নদী। যে কারণে বিঘার পর বিঘা জমি হারাতে হয়েছিল কয়রার বাসিন্দাদের। এলাকাবাসী জানায়, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের ক্ষত শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ২০০৯ সালের ২৫ মে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে আইলা। ছয়/সাত বছর লেগে যায় সেই পানি নেমে যেতে। আইলার কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের পবনা এলাকায় নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে মঠবাড়ী গ্রামকে দুইভাগে বিভক্ত করে একটি শাখা নদী তৈরি হয়েছিল। ওই নদী শাকবাড়িয়া খালের সঙ্গে মিশেছে। আর চাষযোগ্য প্রায় তিনশ বিঘা জমি নদীতে পরিণত হয়। যে নদীর গভীরতা প্রায় ৩৫ ফুট। পবনার বাঁধ মেরামত হলেও শাকবাড়িয়ায় ১৪ বছরেও বাঁধ নির্মাণ সম্ভব না হওয়ায় এখন ১৬০ মিটার দীর্ঘ নদী ভাসমান ড্রামের ভেলা দিয়ে পার হতে হয় এলাকাবাসীকে। নদীর অপরপাড়ে প্রতাপ স্মরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ মঠবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও সুপেয় পানির পুকুর মূল এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সুপেয় পানির প্রয়োজনে কিংবা ক্লিনিকে সেবাগ্রহীতাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হলো নৌকা। কিন্তু খেয়া পারাপারের জন্য কোনো নৌকাও থাকে না। ফলে ওই এলাকার চার হাজার মানুষের দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। অবশেষে ড্রাম দিয়ে তৈরি করা একটা ছোট ভেলা এখন তাদের পারাপারের সম্বল। এলাকাবাসী জানায়, নদীতে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে দিয়েই অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও শিক্ষার্থীদের নদী পার হতে হচ্ছে ড্রাম দিয়ে বানানো সেই ভেলাতে করে। একদিকে নদী পার হওয়ার ঝুঁকি, অন্যদিকে, চাষযোগ্য জমি, বসতবাড়ি, সহায়-সম্পদ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা এলাকাবাসী এখন অপেক্ষায় আছেন কবে স্থায়ী বাঁধ মেরামত করা হবে সেই আশায়।
মহারাজপুরের মতোই দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের পাথরখালীর মানুষ। পাথরখালীর বাসিন্দা তরিকুল, মোসলেম সানা, সিরাজুল ইসলাম সানা জানান, পাথরখালী খালের ওপরে যাতায়াতের একমাত্র সেতুটিও ধ্বংস হয়ে যায় আইলায়। বিলীন হয়ে যায় শত বিঘা জমি। খালের উত্তর পাড়ের বতুলবাজার, পাথরখালী, মাঝেরপাড়া গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও দৈনন্দিন হাটবাজারের জন্য দক্ষিণ পাড়ের রতœাঘেরী গ্রামে ও বড়বাড়ী বাজারে আসতে হয়। এছাড়া দক্ষিণ পাড়ের বাসিন্দারা ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিকাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ওপাড়ে যান। বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হয়ে সম্প্রতি স্থানীয়রা ভাসমান ড্রাম সেতু তৈরি করেছেন। এ অবস্থায় একটি টেকসই ব্রিজের দাবি এলাকাবাসীর। আইলা পরবর্তী দীর্ঘ ১৪ বছর মঠবাড়ী গ্রামের নদীর বেড়িবাঁধের ওপর বসবাস করছেন ইসমাঈল গাজী ও তার স্ত্রী। ইসমাঈল বলেন, আইলায় আমাদের কয়েক কাঠা জমির ওপর থাকা বাড়িঘর এখন খালে। তাদের মতো মঠবাড়ীর ইউনুস গাজী, ইলিয়াস গাজী, মজিবর, জিয়াও বসতবাড়ি-জমি হারিয়ে বাঁধের পাশে বসবাস করছেন। মহারাজপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবু সাঈদ বিশ্বাস বলেন, আমার ওয়ার্ডের প্রায় চার হাজার মানুষ কমিউনিটি সেবা, সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। বিদ্যালয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শাকবাড়িয়ার পাশ দিয়ে একটি বাঁধের ব্যবস্থা করতে পারলে পারাপারের দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি খালে বৃষ্টির পানি আটকে রাখা সম্ভব হবে। খালের মিষ্টি পানি দিয়ে দুইপাশের প্রায় দুই হাজার বিঘা এক ফসলি জমিতে দুই ফসল চাষ করা সম্ভব হবে। কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, পবনা থেকে শাকবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ ফসলি জমি ভেঙে খাল হয়ে যায়। সেখানে বাঁধ দেওয়া প্রচুর ব্যয়বহুল হওয়ায় স্থানীয়ভাবে করা সম্ভব হয়নি। বড় ধরনের প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে বাঁধের ব্যবস্থা করা গেলে জনগণ উপকৃত হবে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান বলেন, উপজেলার সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কীভাবে কী করা যায় সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এদিকে, কয়রার মতোই দুর্ভোগে আছেন উপকূলের দাকোপ উপজেলার কামারখোলা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। ওই ইউনিয়নের জালিয়াখালি এলাকায় ওয়াপদার রাস্তার ওপরে বসবাসরত অনিশেষ বিশ্বাস, রাতুল বিশ্বাস, শ্রীপদ দেবনাথ বলেন, আমাদের ভিটামাটি আইলায় নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সেই থেকেই বাঁধের ওপর ঝুপড়ি তুলে বসবাস করছি। মাঝেমধ্যে কিছু সাহায্য সহযোগিতা পেলেও জমি ফিরে পাওয়ার কোনো উপায় নেই। দাকোপের সুতারখালির ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির বলেন, নলিয়ান এলাকার প্রায় ১৪ কিলোমিটার ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এলাকায় ঠিকমতো ফসল হয় না। আমার এলাকার প্রায় দুই হাজার পরিবার এখনো ওয়াপদার রাস্তার ওপর বাস করছে। ২০০৯ সালের ২৫ মে দুপুরে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জনপদে ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’ আঘাত হানে। এতে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা তছনছ হয়ে যায়।