ঢাকা ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্ভোগ পোহালেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন

  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল সংবাদদাতা : রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে চলছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন। সরকারের কাছ থেকে সন্তোষজনক সিদ্ধান্তের পরই আন্দোলনের মাঠ ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের। তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন দুর্ভোগে পড়া সাধারণ মানুষও। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। একপর্যায়ে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে সেটি উপেক্ষা করে চলে বিভিন্ন স্লোগান। মহাসড়কে ফুটবল খেলায় মেতে ওঠেন আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা। এর আগে রোদ উপেক্ষা করে চলে কোটাবিরোধী আন্দোলন। এ সময় মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনে থাকা সুজয়, বিপ্লব, সোমাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, একশ ভাগের ৫৬ ভাগ দেওয়া হলো কোটায়। তার মধ্যে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযোদ্ধা আমাদের দেশের সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের জন্য সরকার বাড়ি এবং আর্থিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। এরপরও কোটায় কেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাদের ছেলেমেয়ে কোটায় চাকরি পাক তাতে কোনও আপত্তি নেই। এখন শুনছি তাদের নাতিপুতি সকলেই কোটার অন্তর্ভুক্ত।’
প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, ‘এরকম তাহলে মেধাবীরা চাকরি পাবে কীভাবে? আর তাদের (মুক্তিযোদ্ধা) ৩০ ভাগ কোটা দেওয়া হলে ১০ ভাগও পূরণ হয় না। বাকি ২০ ভাগ শূন্য থেকে যাচ্ছে। অথচ সমন্বয় আনা হলে ওই ২০ ভাগে মেধাবীরা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারতো। মেধাবীদের প্রাধান্য দিয়ে কোটা সংস্কার করতে হবে। সংবিধানে যা আছে আমরা তা চাচ্ছি।’ সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত যাত্রীরা হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে একজন সুফিয়ান। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছবি তুলছিলেন। জানালেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। আন্দোলন শুরুর পর থেকে তাদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারপরও তারা তাদের (শিক্ষার্থী) সঙ্গে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাইবোন, ছেলেমেয়ে পরবর্তী প্রজন্মের যারা মেধাবী রয়েছে তাদের যেন আগামীতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, এটাই চাই।’ এ সময় কোটা তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দেন তিনি। একইভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একমত পোষণ করে দুর্ভোগে থাকা অনেক যাত্রী। শুধু যাত্রী নয়, গাড়িচালক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। তবে তাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন এই সমস্যার সমাধান করা হয়। এজন্য সরকারের হস্তক্ষেপের কামনা করেন তারা। অবরোধ চলাকালে ৫টি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে সাধারণ যানবাহন চলাচলে বাধা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়ি এবং পচনশীল মালামাল বহনকারী গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, একই দাবিতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৫ আগস্টের পুরোটাই ছিল একতার অনুভূতি: প্রধান উপদেষ্টা

দুর্ভোগ পোহালেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

বরিশাল সংবাদদাতা : রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে চলছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন। সরকারের কাছ থেকে সন্তোষজনক সিদ্ধান্তের পরই আন্দোলনের মাঠ ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের। তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন দুর্ভোগে পড়া সাধারণ মানুষও। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। একপর্যায়ে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে সেটি উপেক্ষা করে চলে বিভিন্ন স্লোগান। মহাসড়কে ফুটবল খেলায় মেতে ওঠেন আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা। এর আগে রোদ উপেক্ষা করে চলে কোটাবিরোধী আন্দোলন। এ সময় মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনে থাকা সুজয়, বিপ্লব, সোমাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, একশ ভাগের ৫৬ ভাগ দেওয়া হলো কোটায়। তার মধ্যে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযোদ্ধা আমাদের দেশের সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের জন্য সরকার বাড়ি এবং আর্থিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। এরপরও কোটায় কেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাদের ছেলেমেয়ে কোটায় চাকরি পাক তাতে কোনও আপত্তি নেই। এখন শুনছি তাদের নাতিপুতি সকলেই কোটার অন্তর্ভুক্ত।’
প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, ‘এরকম তাহলে মেধাবীরা চাকরি পাবে কীভাবে? আর তাদের (মুক্তিযোদ্ধা) ৩০ ভাগ কোটা দেওয়া হলে ১০ ভাগও পূরণ হয় না। বাকি ২০ ভাগ শূন্য থেকে যাচ্ছে। অথচ সমন্বয় আনা হলে ওই ২০ ভাগে মেধাবীরা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারতো। মেধাবীদের প্রাধান্য দিয়ে কোটা সংস্কার করতে হবে। সংবিধানে যা আছে আমরা তা চাচ্ছি।’ সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত যাত্রীরা হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে একজন সুফিয়ান। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছবি তুলছিলেন। জানালেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। আন্দোলন শুরুর পর থেকে তাদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারপরও তারা তাদের (শিক্ষার্থী) সঙ্গে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাইবোন, ছেলেমেয়ে পরবর্তী প্রজন্মের যারা মেধাবী রয়েছে তাদের যেন আগামীতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, এটাই চাই।’ এ সময় কোটা তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দেন তিনি। একইভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একমত পোষণ করে দুর্ভোগে থাকা অনেক যাত্রী। শুধু যাত্রী নয়, গাড়িচালক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। তবে তাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন এই সমস্যার সমাধান করা হয়। এজন্য সরকারের হস্তক্ষেপের কামনা করেন তারা। অবরোধ চলাকালে ৫টি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে সাধারণ যানবাহন চলাচলে বাধা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়ি এবং পচনশীল মালামাল বহনকারী গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, একই দাবিতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।