ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারেও (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার বাতাসের মান খুব একটা ভালো ছিল না। এদিন বেলা ১১টার আপডেটে বাতাসের মান ছিল ২৫১, যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে। এ ছাড়া এই মান নিয়ে সারা বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে আছে ঢাকা।
তালিকায় ২১৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারতের দিল্লি, ২০৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, ২০২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু এবং ১৭১ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে ইরাকের বাগদাদ।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকল সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
এদিকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার বায়ুমান বর্তমানে সময়ে মাঝে মধ্যেই অস্বাস্থ্যকর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এ অবস্থায় সবাইকে বাইরে গেলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে ৬টি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে— কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা; নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা; নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা; নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া; নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুইবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

আপডেট সময় : ০৯:১৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক: সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারেও (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার বাতাসের মান খুব একটা ভালো ছিল না। এদিন বেলা ১১টার আপডেটে বাতাসের মান ছিল ২৫১, যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে। এ ছাড়া এই মান নিয়ে সারা বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে আছে ঢাকা।
তালিকায় ২১৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারতের দিল্লি, ২০৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, ২০২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু এবং ১৭১ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে ইরাকের বাগদাদ।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকল সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
এদিকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার বায়ুমান বর্তমানে সময়ে মাঝে মধ্যেই অস্বাস্থ্যকর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এ অবস্থায় সবাইকে বাইরে গেলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে ৬টি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে— কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা; নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা; নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা; নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া; নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুইবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করা।