ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

ঢাকার উত্তরাংশসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট

  • আপডেট সময় : ১০:১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা শহরের উত্তরাংশসহ ধনুয়া, জয়দেবপুর, সাভার, আশুলিয়া, কোনাবাড়ি, টাংগাইল, এলেংগা, নরসিংদীতে বিবিয়ানা ও জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। কোথাও একেবারে গ্যাস নেই, আবার কোথাও অল্প চাপে গ্যাস পাচ্ছেন গ্রাহকরা। হঠাৎ করেই এই সংকট সৃষ্টি হওয়ায় গ্রাহকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। বিকাল নাগাদ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও পুরো পরিস্থিতি কখন ঠিক হবে তা এখনও অনিশ্চিত।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সাথে আলাপ করেই শেভরন তাদের দুইটি গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা ও জালালাবাদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেছে। এখন আমরা বিবিয়ানা থেকে কিছু গ্যাস পাচ্ছি। বিকেলের দিকে আরও কিচ্ছুটা বাড়তে পারে বলে শেভরন আমাদের জানিয়েছে। জালালাবাদ থেকে আপাতত বন্ধ আছে। বিকালে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যদি শেষ হয় তাহলে গ্যাস পাওয়া যাবে। তিতাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিবিয়ানা ও জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় তিতাস অধিভুক্ত ধনুয়া, জয়দেবপুর, সাভার, আশুলিয়া, কোনাবাড়ি, টাংগাইল, এলেংগা, নরসিংদী ও ঢাকা শহরের উত্তরাংশে গ্যাসের তীব্র স্বল্পচাপ বিরাজ করছে। গ্রাহকের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ
অন্য একটি সূত্র জানায়, সাধারণত বিবিয়ানা থেকে গড়ে ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যায় আর জালালাবাদ থেকে ২০০-২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। বিবিয়ানা থেকে এখন পাওয়া যাচ্ছে গড়ে ১১০০ মিলিয়ন এবং জালালাবাদ থেকে এখন একেবারেই বন্ধ আছে। জালালাবাদ ঈদের সময় থেকেই রক্ষণাবেক্ষণে কাজ চলছে।
এদিকে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) পরিচালক (অপারেশন) তাজুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এখন বিবিয়ানা থেকে ১১০০ মিলিয়নের মতো আসছে। জালালাবাদ বন্ধ থাকলেও বিকাল নাগাদ চালু হওয়ার কথা। সে হিসেবে বিকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। এদিকে তিতাসের মোট গড় চাহিদা ১৭০০ মিলিয়নের মতো। এরমধ্যে ১৩০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস পাচ্ছে তিতাস। ঘাটতি প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকার উত্তরাংশসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট

আপডেট সময় : ১০:১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা শহরের উত্তরাংশসহ ধনুয়া, জয়দেবপুর, সাভার, আশুলিয়া, কোনাবাড়ি, টাংগাইল, এলেংগা, নরসিংদীতে বিবিয়ানা ও জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। কোথাও একেবারে গ্যাস নেই, আবার কোথাও অল্প চাপে গ্যাস পাচ্ছেন গ্রাহকরা। হঠাৎ করেই এই সংকট সৃষ্টি হওয়ায় গ্রাহকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। বিকাল নাগাদ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও পুরো পরিস্থিতি কখন ঠিক হবে তা এখনও অনিশ্চিত।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সাথে আলাপ করেই শেভরন তাদের দুইটি গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা ও জালালাবাদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেছে। এখন আমরা বিবিয়ানা থেকে কিছু গ্যাস পাচ্ছি। বিকেলের দিকে আরও কিচ্ছুটা বাড়তে পারে বলে শেভরন আমাদের জানিয়েছে। জালালাবাদ থেকে আপাতত বন্ধ আছে। বিকালে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যদি শেষ হয় তাহলে গ্যাস পাওয়া যাবে। তিতাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিবিয়ানা ও জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় তিতাস অধিভুক্ত ধনুয়া, জয়দেবপুর, সাভার, আশুলিয়া, কোনাবাড়ি, টাংগাইল, এলেংগা, নরসিংদী ও ঢাকা শহরের উত্তরাংশে গ্যাসের তীব্র স্বল্পচাপ বিরাজ করছে। গ্রাহকের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ
অন্য একটি সূত্র জানায়, সাধারণত বিবিয়ানা থেকে গড়ে ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যায় আর জালালাবাদ থেকে ২০০-২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। বিবিয়ানা থেকে এখন পাওয়া যাচ্ছে গড়ে ১১০০ মিলিয়ন এবং জালালাবাদ থেকে এখন একেবারেই বন্ধ আছে। জালালাবাদ ঈদের সময় থেকেই রক্ষণাবেক্ষণে কাজ চলছে।
এদিকে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) পরিচালক (অপারেশন) তাজুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এখন বিবিয়ানা থেকে ১১০০ মিলিয়নের মতো আসছে। জালালাবাদ বন্ধ থাকলেও বিকাল নাগাদ চালু হওয়ার কথা। সে হিসেবে বিকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। এদিকে তিতাসের মোট গড় চাহিদা ১৭০০ মিলিয়নের মতো। এরমধ্যে ১৩০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস পাচ্ছে তিতাস। ঘাটতি প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।