ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

জোর করে কমানো হবে উইঘুর মুসলিম জনসংখ্যা

  • আপডেট সময় : ০২:০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
  • ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনসংখ্যা আগামী ২০ বছরে এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি। তারা জানায়, চীনে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য যে নীতি রয়েছে তাতে এমনটা হতে পারে।
বিবিসি জানায়, জার্মানির একজন গবেষক অ্যাডরিন জেনজ সম্প্রতি এক নতুন বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ তথ্য তুলে ধরেছেন। ওই গবেষক দেখিয়েছেন, চীন সরকারের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আঞ্চলিক নীতির কারণে জিনজিয়াং-এ বসবাসরত সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা আগামী ২০ বছরে ২৬ লাখ থেকে ৪৫ লাখ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
চীন সরকারের নতুন নীতির আগে দেশটির গবেষকরা ধারণা করেছিলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে জিনজিয়াং প্রদেশে জনসংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু জার্মান গবেষক জেনজ জানান, জিনজিয়াং প্রদেশে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা হতে পারে ৮৬ লাখ থেকে এক কোটি পাঁচ লাখ।
জেনজ তার রিপোর্টে বলেছেন, ২০১৯ সালের মধ্যে জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষ সেখানকার চারটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর জবরদস্তিমূলক জন্মনিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছে। এজন্য সন্তান জন্মদানে সক্ষম ৮০ শতাংশ নারীকে জন্মনিয়ন্ত্রণে নানা ধরনের সার্জারি এবং বন্ধ্যাত্বকরণ কর্মসূচি নেওয়া হবে। তবে জেনজ-এর বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, চীন সরকারের নতুন নীতির কারণে উইঘুর মুসলিমদের জনসংখ্যা কমলেও দেশটির বৃহত্তর হান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়বে।
এদিকে গত সপ্তাহে চীন সরকার ঘোষণা করেছে, এখন থেকে দম্পতিরা তিনটি পর্যন্ত সন্তান নিতে পারবে। চীনে আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরে সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জোর করে কমানো হবে উইঘুর মুসলিম জনসংখ্যা

আপডেট সময় : ০২:০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনসংখ্যা আগামী ২০ বছরে এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি। তারা জানায়, চীনে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য যে নীতি রয়েছে তাতে এমনটা হতে পারে।
বিবিসি জানায়, জার্মানির একজন গবেষক অ্যাডরিন জেনজ সম্প্রতি এক নতুন বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ তথ্য তুলে ধরেছেন। ওই গবেষক দেখিয়েছেন, চীন সরকারের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আঞ্চলিক নীতির কারণে জিনজিয়াং-এ বসবাসরত সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা আগামী ২০ বছরে ২৬ লাখ থেকে ৪৫ লাখ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
চীন সরকারের নতুন নীতির আগে দেশটির গবেষকরা ধারণা করেছিলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে জিনজিয়াং প্রদেশে জনসংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু জার্মান গবেষক জেনজ জানান, জিনজিয়াং প্রদেশে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা হতে পারে ৮৬ লাখ থেকে এক কোটি পাঁচ লাখ।
জেনজ তার রিপোর্টে বলেছেন, ২০১৯ সালের মধ্যে জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষ সেখানকার চারটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর জবরদস্তিমূলক জন্মনিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছে। এজন্য সন্তান জন্মদানে সক্ষম ৮০ শতাংশ নারীকে জন্মনিয়ন্ত্রণে নানা ধরনের সার্জারি এবং বন্ধ্যাত্বকরণ কর্মসূচি নেওয়া হবে। তবে জেনজ-এর বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, চীন সরকারের নতুন নীতির কারণে উইঘুর মুসলিমদের জনসংখ্যা কমলেও দেশটির বৃহত্তর হান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়বে।
এদিকে গত সপ্তাহে চীন সরকার ঘোষণা করেছে, এখন থেকে দম্পতিরা তিনটি পর্যন্ত সন্তান নিতে পারবে। চীনে আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরে সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে।