ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জেনারেল আজিজ ও তার ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

  • আপডেট সময় : ০২:৫২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ, অর্থ পাচার ও ক্রয় বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার দুই ভাই হারিস আহমেদ, তোফায়েল আহমেদ জোসেফের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইদিন টেন্ডার বাণিজ্য, সরকারি সম্পত্তি দখল, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজামুদ্দিন হাজারী বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।
গতকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরও প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ ১০০ কোটি বিনিয়োগ করে আলিশান বাংলো নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে সাবেক এ সেনাপ্রধান মিরপুর ডিওএইচএস মিরপুরে বাড়ি, ঢাকার নিকুঞ্জ-১ এর ৬ নম্বর রোডে আজিজ রেসিডেন্স নামীয় বাড়ি কিনেছেন। তার ছোট ভাই তোফায়েল আহমেদ ও জোসেফের নামে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ও কয়েকশ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে। অর্থপাচার করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি কেনার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নিজাম উদ্দিন হাজারী বিগত ৩ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ঢাকা, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় নামে-বেনামে জমি, বাণিজ্যিক ভবন কেনা, বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ আছে। এছাড়া তার মালিকানাধীন রিক্রুটিং এজেন্সি স্নিগ্ধা ওভারসিজ লিমিটেডের মাধ্যমে মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে অতিরিক্ত কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা

জেনারেল আজিজ ও তার ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

আপডেট সময় : ০২:৫২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ, অর্থ পাচার ও ক্রয় বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার দুই ভাই হারিস আহমেদ, তোফায়েল আহমেদ জোসেফের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইদিন টেন্ডার বাণিজ্য, সরকারি সম্পত্তি দখল, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজামুদ্দিন হাজারী বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।
গতকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরও প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ ১০০ কোটি বিনিয়োগ করে আলিশান বাংলো নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে সাবেক এ সেনাপ্রধান মিরপুর ডিওএইচএস মিরপুরে বাড়ি, ঢাকার নিকুঞ্জ-১ এর ৬ নম্বর রোডে আজিজ রেসিডেন্স নামীয় বাড়ি কিনেছেন। তার ছোট ভাই তোফায়েল আহমেদ ও জোসেফের নামে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ও কয়েকশ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে। অর্থপাচার করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি কেনার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নিজাম উদ্দিন হাজারী বিগত ৩ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ঢাকা, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় নামে-বেনামে জমি, বাণিজ্যিক ভবন কেনা, বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ আছে। এছাড়া তার মালিকানাধীন রিক্রুটিং এজেন্সি স্নিগ্ধা ওভারসিজ লিমিটেডের মাধ্যমে মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে অতিরিক্ত কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।