ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জন্মগত ক্যানসার নিরাময় করা যায়

  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

ক্যানসার একটি অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধিজনিত রোগÑ যা শরীরের অন্যান্য অংশের ওপর আক্রমণ বা বিস্তার লাভ করে। সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ ক্যানসার। ক্যানসার তুলনামূলক একটি ভীতিকর রোগ।
বর্তমানে শরীরের যে কোনো অঙ্গেই এ রোগ হতে দেখা যায়। তবে সঠিক সময়ে এ রোগ শনাক্তকরণ ও যথাযথ চিকিৎসা, মানুষকে অনেক অংশে সুস্থ করে তোলে। ধূমপান, অ্যালকোহল, জর্দা-তামাকপাতা, কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেডমিট, পোড়া খাবার খাওয়া; এছাড়া আঁশযুক্ত খাবার, সবজি, ফলমূল, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম কম খাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম না করা, শারীরিক স্থূলতা বা বেশি ওজন, আলট্রাভায়োলেট রশ্মি, এক্স-রেডিয়েশন, কিছু রাসায়নিক পদার্থ, কিছু ভাইরাস ও অন্যান্য কারণে ক্যানসার হয়ে থাকে।
ক্যানসারের কারণে সারা বিশ্বে প্রায় ৮ কোটি মানুষের মতো মারা যায়। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
যে কারো, যে কোনো বয়সে, যে কোনো সময়ে রোগটি হতে পারে। তবে কিছুটা সচেতনতা আর নিয়মানুবর্তিতা আমাদের এ রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
যেসব ধরনের খাবার খেলে এ রোগ হয়, আমাদের সেসব খাবার থেকে পুরোপুরি দূরে থাকা উচিত। একই সঙ্গে যেসব খাবার আমাদের নিয়মিত খাওয়া উচিত, সেসব খাবার নিয়ম করে খাওয়া দরকার। আর এ দুটি কাজ করলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে দূরে থাকা সম্ভব। ক্যানসার অনেক ধরনের। হয়তো আমাদের সব ধরনের ক্যানসার সম্পর্কে ধারণা নেই। আমাদের আশেপাশে করো মধ্যে যে কোনো রকমের ক্যানসারের লক্ষণ থাকলে আমরা সহজে বুঝতে পারবো না। রোগটি সামান্য পর্যায় থেকে গুরুতর পর্যায়ে চলে যাবে। তাই সবার উচিত ক্যানসারের লক্ষণ সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান রাখা।
প্রফেসর ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যানসার কঠিন ব্যাধি। শুরুতেই চিহ্নিত করা গেলে ক্যানসার নিরাময় সম্ভব। জন্মগত ক্যানসার রোগীদেরও নিরাময় করা যায়। সরকারের পক্ষ থেকে এ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্তন ও জরায়ু ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। অবশ্য এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধিরও দরকার রয়েছে। মিডিয়াসহ সবার সহযোগিতা ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করা দরকার।
দেশের মধ্যে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইএনটি অ্যান্ড হেড নেক ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউট, আহছানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল, ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল, এনাম মেডিকেল, ডেল্টা হাসপাতালসহ বেশ কিছু হাসপাতালে চলছে ক্যানসারের চিকিৎসা। পাশাপাশি বেশ কিছু মানুষ কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, ব্যাংকক, সিংগাপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ছুটছেন। তবে যে যেখানেই চিকিৎসা করুক সঠিক সময়ে সঠিক সনাক্তকরণ ও যথাযথ চিকিৎসা দেওয়াই মূল বিষয়।
শরীরে যেকোনো সমস্যা অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেওয়া, ক্যানসারের লক্ষণ নিয়ে পড়াশোনা করে জানা, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুযায়ী পরিবারের সুষম খাদ্য নিশ্চিত করা, কোনোভাবেই এসব দায়িত্ব এড়ালে চলবে না। আসুন সবাই মিলে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি, আর সমাজ থেকে রোগটিকে নির্মূলের সর্বাত্মক চেষ্টা করি।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

জন্মগত ক্যানসার নিরাময় করা যায়

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

ক্যানসার একটি অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধিজনিত রোগÑ যা শরীরের অন্যান্য অংশের ওপর আক্রমণ বা বিস্তার লাভ করে। সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ ক্যানসার। ক্যানসার তুলনামূলক একটি ভীতিকর রোগ।
বর্তমানে শরীরের যে কোনো অঙ্গেই এ রোগ হতে দেখা যায়। তবে সঠিক সময়ে এ রোগ শনাক্তকরণ ও যথাযথ চিকিৎসা, মানুষকে অনেক অংশে সুস্থ করে তোলে। ধূমপান, অ্যালকোহল, জর্দা-তামাকপাতা, কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেডমিট, পোড়া খাবার খাওয়া; এছাড়া আঁশযুক্ত খাবার, সবজি, ফলমূল, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম কম খাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম না করা, শারীরিক স্থূলতা বা বেশি ওজন, আলট্রাভায়োলেট রশ্মি, এক্স-রেডিয়েশন, কিছু রাসায়নিক পদার্থ, কিছু ভাইরাস ও অন্যান্য কারণে ক্যানসার হয়ে থাকে।
ক্যানসারের কারণে সারা বিশ্বে প্রায় ৮ কোটি মানুষের মতো মারা যায়। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
যে কারো, যে কোনো বয়সে, যে কোনো সময়ে রোগটি হতে পারে। তবে কিছুটা সচেতনতা আর নিয়মানুবর্তিতা আমাদের এ রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
যেসব ধরনের খাবার খেলে এ রোগ হয়, আমাদের সেসব খাবার থেকে পুরোপুরি দূরে থাকা উচিত। একই সঙ্গে যেসব খাবার আমাদের নিয়মিত খাওয়া উচিত, সেসব খাবার নিয়ম করে খাওয়া দরকার। আর এ দুটি কাজ করলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে দূরে থাকা সম্ভব। ক্যানসার অনেক ধরনের। হয়তো আমাদের সব ধরনের ক্যানসার সম্পর্কে ধারণা নেই। আমাদের আশেপাশে করো মধ্যে যে কোনো রকমের ক্যানসারের লক্ষণ থাকলে আমরা সহজে বুঝতে পারবো না। রোগটি সামান্য পর্যায় থেকে গুরুতর পর্যায়ে চলে যাবে। তাই সবার উচিত ক্যানসারের লক্ষণ সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান রাখা।
প্রফেসর ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যানসার কঠিন ব্যাধি। শুরুতেই চিহ্নিত করা গেলে ক্যানসার নিরাময় সম্ভব। জন্মগত ক্যানসার রোগীদেরও নিরাময় করা যায়। সরকারের পক্ষ থেকে এ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্তন ও জরায়ু ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। অবশ্য এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধিরও দরকার রয়েছে। মিডিয়াসহ সবার সহযোগিতা ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করা দরকার।
দেশের মধ্যে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইএনটি অ্যান্ড হেড নেক ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউট, আহছানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল, ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল, এনাম মেডিকেল, ডেল্টা হাসপাতালসহ বেশ কিছু হাসপাতালে চলছে ক্যানসারের চিকিৎসা। পাশাপাশি বেশ কিছু মানুষ কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, ব্যাংকক, সিংগাপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ছুটছেন। তবে যে যেখানেই চিকিৎসা করুক সঠিক সময়ে সঠিক সনাক্তকরণ ও যথাযথ চিকিৎসা দেওয়াই মূল বিষয়।
শরীরে যেকোনো সমস্যা অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেওয়া, ক্যানসারের লক্ষণ নিয়ে পড়াশোনা করে জানা, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুযায়ী পরিবারের সুষম খাদ্য নিশ্চিত করা, কোনোভাবেই এসব দায়িত্ব এড়ালে চলবে না। আসুন সবাই মিলে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি, আর সমাজ থেকে রোগটিকে নির্মূলের সর্বাত্মক চেষ্টা করি।