ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জনগণ বিএনপির দুঃশাসন ভোলেনি: কাদের

  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দেশবাসীকে কী ধরনের দুঃশাসন ও অপশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়েছিল, তা জনগণ ভুলে যায়নি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির ব্যর্থতা বাংলাদেশকে চরম অনিশ্চয়তা ও দুরবস্থার মুখে ঢেলে দিয়েছিল।’
গতকাল বুধবার বিএনপি নেতাদের ‘উস্কানিমূলক বক্তব্য ও মিথ্যা-অপপ্রচারের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে! গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত একটি সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের বক্তব্য শুধু সংবিধান পরিপন্থীই নয়। গণতন্ত্রের নীতি বহির্ভূতও বটে। যা গণতন্ত্রের প্রতি হুমকিস্বরূপ।
‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনও সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস হলো এদেশের জনগণ। ক্ষমতা দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ্। বিএনপির মতো জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখের কথায় জনগণ কখনও আস্থা রাখেনি। বিগত ১৪ বছর লাগাতার বিএনপি নেতারা এ ধরনের কথা এবং আন্দোলনের হাঁকডাক দিয়েই চলেছে।’
এদেশের জনগণ বিএনপির ডাকে সাড়া দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ ভুলে যায়নি বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দেশবাসীকে কী ধরনের দুঃশাসন ও অপশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়েছিল। বিএনপির ব্যর্থতা বাংলাদেশকে চরম অনিশ্চয়তা ও দুরবস্থার মুখে ঢেলে দিয়েছিল। ‘তারা সরকার পরিচালনায় যেমন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, বিরোধী দল হিসেবেও চরম দায়িত্বহীনতার নজির স্থাপন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নয় বরং নেতিবাচক রাজনীতি ও নির্বাচনবিমুখতার জন্য বিএনপির রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিদিনই বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠনগুলো মিটিং-মিছিল সভা-সমাবেশ করছে। অথচ তারা অভিযোগ করছে, তাদের সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক অধিকার থেকে নাকি বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, নিজেদের ব্যর্থতা ও নানা অপকর্মের দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা বিএনপির চিরাচরিত অভ্যাস। মিথ্যার মোড়কে লুকায়িত তাদের অগণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বরূপ জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট। বিএনপির শাসন আমলে দেশ মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছিল মন্তব্য করে কাদের বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছিল। সার ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছিল। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ ও নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করেছিল। আবারও তারা দেশকে সে অরাজকতায় ডুবিয়ে দিতে চায়। কিন্তু জনগণ বর্ণচোরা বিএনপিকে চেনে। সুতরাং সে সুযোগ জনগণ আর তাদের দেবে না।
গত চার দশক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি সকল সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ জয় করতে সক্ষম হয়েছে এবং এদেশের জনগণের সকল স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, এ দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন এবং সঙ্কট জয়ের সাফল্য তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ভরসা ও বিশ্বাস। ‘দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহ অভিঘাতের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা সঙ্কট দেখা দিয়েছে এবং আমাদের জনজীবনেও তার অনাকাঙ্ক্ষিত ঢেউ লেগেছে। আমরা বিশ্বাস করি, সকলে ধৈর্য ও দায়িত্বশীল আচরণ করলে অতীতের ন্যায় শেখ হাসিনার ভিশনারি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বৈশ্বিক এই সঙ্কট মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো’- বলেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনগণ বিএনপির দুঃশাসন ভোলেনি: কাদের

আপডেট সময় : ০১:৫৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দেশবাসীকে কী ধরনের দুঃশাসন ও অপশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়েছিল, তা জনগণ ভুলে যায়নি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির ব্যর্থতা বাংলাদেশকে চরম অনিশ্চয়তা ও দুরবস্থার মুখে ঢেলে দিয়েছিল।’
গতকাল বুধবার বিএনপি নেতাদের ‘উস্কানিমূলক বক্তব্য ও মিথ্যা-অপপ্রচারের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে! গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত একটি সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের বক্তব্য শুধু সংবিধান পরিপন্থীই নয়। গণতন্ত্রের নীতি বহির্ভূতও বটে। যা গণতন্ত্রের প্রতি হুমকিস্বরূপ।
‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনও সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস হলো এদেশের জনগণ। ক্ষমতা দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ্। বিএনপির মতো জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখের কথায় জনগণ কখনও আস্থা রাখেনি। বিগত ১৪ বছর লাগাতার বিএনপি নেতারা এ ধরনের কথা এবং আন্দোলনের হাঁকডাক দিয়েই চলেছে।’
এদেশের জনগণ বিএনপির ডাকে সাড়া দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ ভুলে যায়নি বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দেশবাসীকে কী ধরনের দুঃশাসন ও অপশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়েছিল। বিএনপির ব্যর্থতা বাংলাদেশকে চরম অনিশ্চয়তা ও দুরবস্থার মুখে ঢেলে দিয়েছিল। ‘তারা সরকার পরিচালনায় যেমন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, বিরোধী দল হিসেবেও চরম দায়িত্বহীনতার নজির স্থাপন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নয় বরং নেতিবাচক রাজনীতি ও নির্বাচনবিমুখতার জন্য বিএনপির রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিদিনই বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠনগুলো মিটিং-মিছিল সভা-সমাবেশ করছে। অথচ তারা অভিযোগ করছে, তাদের সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক অধিকার থেকে নাকি বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, নিজেদের ব্যর্থতা ও নানা অপকর্মের দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা বিএনপির চিরাচরিত অভ্যাস। মিথ্যার মোড়কে লুকায়িত তাদের অগণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বরূপ জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট। বিএনপির শাসন আমলে দেশ মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছিল মন্তব্য করে কাদের বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছিল। সার ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছিল। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ ও নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করেছিল। আবারও তারা দেশকে সে অরাজকতায় ডুবিয়ে দিতে চায়। কিন্তু জনগণ বর্ণচোরা বিএনপিকে চেনে। সুতরাং সে সুযোগ জনগণ আর তাদের দেবে না।
গত চার দশক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি সকল সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ জয় করতে সক্ষম হয়েছে এবং এদেশের জনগণের সকল স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, এ দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন এবং সঙ্কট জয়ের সাফল্য তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ভরসা ও বিশ্বাস। ‘দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহ অভিঘাতের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা সঙ্কট দেখা দিয়েছে এবং আমাদের জনজীবনেও তার অনাকাঙ্ক্ষিত ঢেউ লেগেছে। আমরা বিশ্বাস করি, সকলে ধৈর্য ও দায়িত্বশীল আচরণ করলে অতীতের ন্যায় শেখ হাসিনার ভিশনারি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বৈশ্বিক এই সঙ্কট মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো’- বলেন তিনি।