ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও চিকিৎসকের অবহেলায় ইয়াছমিন আক্তার (৩০)নামের এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রসূতির স্বজনেরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। রবিবার রাত পৌনে ১২টায় উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। রাত সোয়া ১২টার দিকে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা ও শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত ইয়াছমিন আক্তার গাজীপুর সদর উপজেলার বানিয়ারচালা পালপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. আসাদুল্লাহর স্ত্রী। তিনি রবিবার বিকলে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। নিহতের স্বামী মো. আসাদুল্লাহ জানান, দুপুর ১২টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে আসার পর কর্তৃপক্ষ ওই প্রসূতির সিজার করার কথা জানান। পরে ১৪ হাজার টাকায় ওই প্রসূতির সিজারে চুক্তিবদ্ধ হন এবং রমজান মাস থাকায় ইফতারের পর সিজার করা হবে বলে জানানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ সিজার করার সিদ্ধান্ত নেন। সিজারের পর ওই প্রসূতি এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। পরে অপারেশন থিয়েটার থেকে ওই প্রসূতিকে কেবিনে স্থানান্তর করা হলে প্রসূতির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের বিষয়টি জানালে তারা প্রসূতিকে বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ প্রয়োগ করেন। এরপরও রক্তক্ষরণ না থামায় রাত ৯টার দিকে প্রসূতি নিস্তেজ হয়ে পড়লে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। এরপর প্রসূতির স্বজনেরা পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল থেকে অন্য ডাক্তার এনে রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান, এ সময় তার পালস পাওয়া না গেলে কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। নিহতের মামা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের গাফিলতিতে দুই শিশু আজ এতিম হয়েছে। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করছি। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনায়েত কবির বলেন, নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা বলেন, প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

আপডেট সময় : ১২:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুর সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও চিকিৎসকের অবহেলায় ইয়াছমিন আক্তার (৩০)নামের এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রসূতির স্বজনেরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। রবিবার রাত পৌনে ১২টায় উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। রাত সোয়া ১২টার দিকে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা ও শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত ইয়াছমিন আক্তার গাজীপুর সদর উপজেলার বানিয়ারচালা পালপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. আসাদুল্লাহর স্ত্রী। তিনি রবিবার বিকলে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। নিহতের স্বামী মো. আসাদুল্লাহ জানান, দুপুর ১২টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে আসার পর কর্তৃপক্ষ ওই প্রসূতির সিজার করার কথা জানান। পরে ১৪ হাজার টাকায় ওই প্রসূতির সিজারে চুক্তিবদ্ধ হন এবং রমজান মাস থাকায় ইফতারের পর সিজার করা হবে বলে জানানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ সিজার করার সিদ্ধান্ত নেন। সিজারের পর ওই প্রসূতি এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। পরে অপারেশন থিয়েটার থেকে ওই প্রসূতিকে কেবিনে স্থানান্তর করা হলে প্রসূতির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের বিষয়টি জানালে তারা প্রসূতিকে বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ প্রয়োগ করেন। এরপরও রক্তক্ষরণ না থামায় রাত ৯টার দিকে প্রসূতি নিস্তেজ হয়ে পড়লে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। এরপর প্রসূতির স্বজনেরা পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল থেকে অন্য ডাক্তার এনে রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান, এ সময় তার পালস পাওয়া না গেলে কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। নিহতের মামা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের গাফিলতিতে দুই শিশু আজ এতিম হয়েছে। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করছি। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনায়েত কবির বলেন, নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা বলেন, প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।