ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলমান ইস্যুতে জবি শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশ

  • আপডেট সময় : ০৫:০৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: বিগত কয়েকদিনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং উসকানিমূলক পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত কয়েকদিনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং উসকানিমূলক পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে না জড়িয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
স্মরণে রাখা প্রয়োজন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন’। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এর আগে, ভুল চিকিৎসায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদারের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে রোববার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালান। দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে ওইদিন ২০ জনের বেশি আহত হন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদার গত ১৬ নভেম্বর সকালে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। ১৮ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান তিনি। অভিজিৎ হালদারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ২০ ও ২১ নভেম্বর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, এ দুই দিন ন্যাশনাল মেডিকেলের পক্ষ নিয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এ হামলাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ‘ইউনাইটেড কলেজ অব বাংলাদেশ’ নামে একটি গ্রুপে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন এবং অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে রোববার একত্রিত হন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

চলমান ইস্যুতে জবি শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৫:০৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: বিগত কয়েকদিনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং উসকানিমূলক পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত কয়েকদিনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং উসকানিমূলক পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে না জড়িয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
স্মরণে রাখা প্রয়োজন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন’। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এর আগে, ভুল চিকিৎসায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদারের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে রোববার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালান। দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে ওইদিন ২০ জনের বেশি আহত হন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদার গত ১৬ নভেম্বর সকালে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। ১৮ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান তিনি। অভিজিৎ হালদারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ২০ ও ২১ নভেম্বর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, এ দুই দিন ন্যাশনাল মেডিকেলের পক্ষ নিয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এ হামলাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ‘ইউনাইটেড কলেজ অব বাংলাদেশ’ নামে একটি গ্রুপে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন এবং অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে রোববার একত্রিত হন।