ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

গলু’স রিভিউয়ের তাপসীর এগিয়ে চলার গল্প

  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের অসংখ্য কন্টেন্টের মধ্যে হাজার রকম টপিক নিয়ে কন্টেন্ট বানান অনেকেই। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনও মিটবে আবার বিনোদনও থাকবে, এমন খুব কমই দেখা যায়। তবে এমনই এক ব্যতিক্রমী কন্টেন্ট তৈরি করেন গলু’স রিভিউ পেজের নির্মাতা তাপসী দাস। নিজের ছোট ছেলে গলুর ইচ্ছাতেই তৈরি করেন ফেসবুক পেজটি। ২০২১ সালের মার্চ থেকেই শুরু হয় যাত্রা। উদ্দেশ্য মানুষকে বিনোদন দেওয়া ও হাসানো। তবে কন্টেন্টের মূল বিষয়বস্তু থাকে রান্না। তাপসী দাস ফেসবুকেই কন্টেন্ট দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে ইউটিউবেও এ চ্যানেলের আছে ৩ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইবার। কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে তিনি কোনো ধরনের স্ক্রিপ্ট ছাড়াই স্বতস্ফূর্তভাবেই করেন। ফলে কন্টেন্টগুলো হয় আরও বেশি প্রাণবন্ত। কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে তিনি মাথায় রাখেন কোয়ালিটি বা বিশেষত্ব। তাপসী দাসের তৈরি কন্টেন্টগুলো পরিবারের সবাই মিলে দেখতে পারেন। এজন্য সব শ্রেণির মানুষের মাঝে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। নির্দিষ্ট কোনো অডিয়েন্সের জন্য তার কন্টেন্ট নয়। যারাই বিনোদন এবং রেসিপি পছন্দ করেন, তারা বেশি অনুসরণ করেন তার পেজ। তাই দেশের বাইরে থেকেও অনেকে গলু’স রিভিউ পেজের কন্টেন্টগুলো দেখেন।
কন্টেন্ট তৈরির পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে তার পরিবার। পরিবারের সদস্যরা সব সময় সহযোগিতা করেন। নিজের সংসার সামলে কন্টেন্ট তৈরির পেছনে সময় দেন। কন্টেন্টগুলো তাপসীই এডিট করেন। নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করাতে পচ্ছন্দ করেন না। মূলত একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের নিত্যদিনের কার্যকলাপ নিয়েই তিনি কন্টেন্টগুলো উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। তার তৈরি সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ‘বড়লোকি কেক’। একটি কন্টেন্ট প্রকাশের পর বাজে বা কটূ মন্তব্য এবং সমালোচনার মুখোমুখি হলেও সেগুলো স্বাভাবিক ভাবেই নেন। এসব বাজে কমেন্ট এবং সমালোচনা থেকে আরও ভালোভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পান। প্রথম প্রথম মেনে নিতে খারাপ লাগলেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে যাচ্ছেন নিয়মিত। মানুষকে বিনোদন দিয়েই এ কন্টেন্ট নির্মাতা মাস গেলে আয় করছেন ১ থেকে ২ হাজার ইউএস ডলার। এ আয়ের একটি অংশ দিয়ে অসহায় মানুষের ইচ্ছা পূরণ করেন। নানাভাবে তাদের সাহায্য করেন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে সমানভাবে জনপ্রিয় তাপসী দাসের কন্টেন্ট। গতানুগতিক কন্টেন্টের ধারাকে পাল্টে নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। যেটি আগে কেউ দেখেনি বা করেনি, সেটি করে দেখাতে চান। পেজটিকে তিনি আরও বড় করতে চান। মানুষকে আনন্দ দিয়ে যেতে চান। তাপসী দাসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একটি রেস্টুরেন্ট করবেন। যার নাম হবে ‘গলু’স কিচেন’।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনে দেরি হলে জঙ্গি ও উগ্রপন্থিরাও সুযোগ নেবে: ফখরুল

গলু’স রিভিউয়ের তাপসীর এগিয়ে চলার গল্প

আপডেট সময় : ১০:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

নারী ও শিশু ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের অসংখ্য কন্টেন্টের মধ্যে হাজার রকম টপিক নিয়ে কন্টেন্ট বানান অনেকেই। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনও মিটবে আবার বিনোদনও থাকবে, এমন খুব কমই দেখা যায়। তবে এমনই এক ব্যতিক্রমী কন্টেন্ট তৈরি করেন গলু’স রিভিউ পেজের নির্মাতা তাপসী দাস। নিজের ছোট ছেলে গলুর ইচ্ছাতেই তৈরি করেন ফেসবুক পেজটি। ২০২১ সালের মার্চ থেকেই শুরু হয় যাত্রা। উদ্দেশ্য মানুষকে বিনোদন দেওয়া ও হাসানো। তবে কন্টেন্টের মূল বিষয়বস্তু থাকে রান্না। তাপসী দাস ফেসবুকেই কন্টেন্ট দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে ইউটিউবেও এ চ্যানেলের আছে ৩ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইবার। কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে তিনি কোনো ধরনের স্ক্রিপ্ট ছাড়াই স্বতস্ফূর্তভাবেই করেন। ফলে কন্টেন্টগুলো হয় আরও বেশি প্রাণবন্ত। কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে তিনি মাথায় রাখেন কোয়ালিটি বা বিশেষত্ব। তাপসী দাসের তৈরি কন্টেন্টগুলো পরিবারের সবাই মিলে দেখতে পারেন। এজন্য সব শ্রেণির মানুষের মাঝে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। নির্দিষ্ট কোনো অডিয়েন্সের জন্য তার কন্টেন্ট নয়। যারাই বিনোদন এবং রেসিপি পছন্দ করেন, তারা বেশি অনুসরণ করেন তার পেজ। তাই দেশের বাইরে থেকেও অনেকে গলু’স রিভিউ পেজের কন্টেন্টগুলো দেখেন।
কন্টেন্ট তৈরির পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে তার পরিবার। পরিবারের সদস্যরা সব সময় সহযোগিতা করেন। নিজের সংসার সামলে কন্টেন্ট তৈরির পেছনে সময় দেন। কন্টেন্টগুলো তাপসীই এডিট করেন। নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করাতে পচ্ছন্দ করেন না। মূলত একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের নিত্যদিনের কার্যকলাপ নিয়েই তিনি কন্টেন্টগুলো উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। তার তৈরি সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ‘বড়লোকি কেক’। একটি কন্টেন্ট প্রকাশের পর বাজে বা কটূ মন্তব্য এবং সমালোচনার মুখোমুখি হলেও সেগুলো স্বাভাবিক ভাবেই নেন। এসব বাজে কমেন্ট এবং সমালোচনা থেকে আরও ভালোভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পান। প্রথম প্রথম মেনে নিতে খারাপ লাগলেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে যাচ্ছেন নিয়মিত। মানুষকে বিনোদন দিয়েই এ কন্টেন্ট নির্মাতা মাস গেলে আয় করছেন ১ থেকে ২ হাজার ইউএস ডলার। এ আয়ের একটি অংশ দিয়ে অসহায় মানুষের ইচ্ছা পূরণ করেন। নানাভাবে তাদের সাহায্য করেন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে সমানভাবে জনপ্রিয় তাপসী দাসের কন্টেন্ট। গতানুগতিক কন্টেন্টের ধারাকে পাল্টে নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। যেটি আগে কেউ দেখেনি বা করেনি, সেটি করে দেখাতে চান। পেজটিকে তিনি আরও বড় করতে চান। মানুষকে আনন্দ দিয়ে যেতে চান। তাপসী দাসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একটি রেস্টুরেন্ট করবেন। যার নাম হবে ‘গলু’স কিচেন’।