ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যান্সারে ৮ অঙ্গ হারানো নারী ফিরলেন কর্মক্ষেত্রে

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর আটটি অঙ্গ ফেলে দেওয়ার পরও স¤প্রতি কাজে ফিরেছেন যুক্তরাজ্যের এক নারী।

ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্স কাউন্টির হর্শামের বাসিন্দা ফায়ে লুইস ২০২৩ সালে তার অ্যাপেনডিক্সে একটি টিউমার খুঁজে পান। এর পর নিজের শেষকৃত্যের পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি।

তবে বিস্ময়করভাবে ‘সব ধরনের অস্ত্রোপচারের’ পরে ক্যান্সার মুক্ত হন লুইস। পাশাপাশি গ্যাটউইক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ডিসপ্যাচার হিসাবে নিজের কাজেও ফিরেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।

ডাক্তাররা বলে দিয়েছেন আমার দেহে এখন আর ক্যান্সারের কোনও অস্তিত্ব নেই। আর এটি ছিল বড়দিনে পাওয়া আমার সবচেয়ে বড় উপহার, বলেছেন লুইস।

আবার কাজ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে গত বছরও নিশ্চিত ছিলেন না লুইস।

কাজটি শারীরিকভাবে খুব কঠিন। তবে, বিমানবন্দরের এ কাজটি আমার খুব ভালো লাগে। আর আমি খুশি যে এই কাজ করতেই আমি ফিরতে পেরেছি।

লুইসের পেট ব্যথা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের বসন্তে। শুরুতে এটিকে পিরিয়ডের ব্যথা ভেবেছিলেন তিনি। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর তার ডিম্বাশয়ে সিস্ট ধরা পড়ে।

এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অপারেশন করেন লুইস। এরপর তার দেহে ‘সিউডোমাইক্সোমা পেরিটোনেই’ ধরা পড়ে। যেটি একটি বিরল টিউমার, যা পেটে জেলির মতো পদার্থ তৈরি করে।

লুইসের পেটে টিউমারটি ফেটে যাওয়ায় তার শরীরের আশপাশে ক্যান্সার কোষ ছড়িয়ে পড়ে। এর থেকে মুক্তি পেতে লুইসের অপারেশনের প্রয়োজন ছিল, ফলে তার দেহের আটটি অঙ্গ ফেলে দেন ডাক্তাররা।

ফেলে দেওয়া অঙ্গের মধ্যে রয়েছে তার দেহের প্লীহা, পিত্তথলি, অ্যাপেন্ডিক্স, ডিম্বাশয়, জরায়ু, ফেলোপিয়ান টিউব, নাভি, বড় ও ছোট আকারের ওমেন্টাম। পেট ও ডুওডেনাম’কে পেটের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে যোগ করে ওমেন্টাম।

লুইসের ফেলে দেওয়া অঙ্গের মধ্যে আরও রয়েছে লিভারের কিছু অংশ, ডায়াফ্রাম ও শ্রোণীচক্র বা পেলভিসের স্ক্র্যাপিং। এতোগুলো অঙ্গ ফেলে দেওয়ার কারণে প্রতি বছরের নভেম্বরে শরীর স্ক্যান করতে হবে লুইসকে।

ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা আমার জন্য কঠিন হবে। তবে আমাকে কেবল এগিয়ে যেতে হবে ও কখনই হাল ছাড়লে চলবে না, বলেছেন লুইস। কিছু দিন আমি হতাশার গভীরে চলে গেলেও এখন বেশিরভাগ সময়ই আমি ভালো কাটাচ্ছি।

এরপর লুইস কাজে ফেরেন এবং ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’-এর জন্য তহবিল সংগ্রহ করে চলেছেন।

 

ক্যান্সারে ৮ অঙ্গ হারানো নারী ফিরলেন কর্মক্ষেত্রে
প্রযুক্তি ডেস্ক: বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর আটটি অঙ্গ ফেলে দেওয়ার পরও স¤প্রতি কাজে ফিরেছেন যুক্তরাজ্যের এক নারী।

ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্স কাউন্টির হর্শামের বাসিন্দা ফায়ে লুইস ২০২৩ সালে তার অ্যাপেনডিক্সে একটি টিউমার খুঁজে পান। এর পর নিজের শেষকৃত্যের পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি।

তবে বিস্ময়করভাবে ‘সব ধরনের অস্ত্রোপচারের’ পরে ক্যান্সার মুক্ত হন লুইস। পাশাপাশি গ্যাটউইক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ডিসপ্যাচার হিসাবে নিজের কাজেও ফিরেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।

ডাক্তাররা বলে দিয়েছেন আমার দেহে এখন আর ক্যান্সারের কোনও অস্তিত্ব নেই। আর এটি ছিল বড়দিনে পাওয়া আমার সবচেয়ে বড় উপহার, বলেছেন লুইস।

আবার কাজ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে গত বছরও নিশ্চিত ছিলেন না লুইস।

কাজটি শারীরিকভাবে খুব কঠিন। তবে, বিমানবন্দরের এ কাজটি আমার খুব ভালো লাগে। আর আমি খুশি যে এই কাজ করতেই আমি ফিরতে পেরেছি।

লুইসের পেট ব্যথা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের বসন্তে। শুরুতে এটিকে পিরিয়ডের ব্যথা ভেবেছিলেন তিনি। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর তার ডিম্বাশয়ে সিস্ট ধরা পড়ে।

এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অপারেশন করেন লুইস। এরপর তার দেহে ‘সিউডোমাইক্সোমা পেরিটোনেই’ ধরা পড়ে। যেটি একটি বিরল টিউমার, যা পেটে জেলির মতো পদার্থ তৈরি করে।

লুইসের পেটে টিউমারটি ফেটে যাওয়ায় তার শরীরের আশপাশে ক্যান্সার কোষ ছড়িয়ে পড়ে। এর থেকে মুক্তি পেতে লুইসের অপারেশনের প্রয়োজন ছিল, ফলে তার দেহের আটটি অঙ্গ ফেলে দেন ডাক্তাররা।

ফেলে দেওয়া অঙ্গের মধ্যে রয়েছে তার দেহের প্লীহা, পিত্তথলি, অ্যাপেন্ডিক্স, ডিম্বাশয়, জরায়ু, ফেলোপিয়ান টিউব, নাভি, বড় ও ছোট আকারের ওমেন্টাম। পেট ও ডুওডেনাম’কে পেটের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে যোগ করে ওমেন্টাম।

লুইসের ফেলে দেওয়া অঙ্গের মধ্যে আরও রয়েছে লিভারের কিছু অংশ, ডায়াফ্রাম ও শ্রোণীচক্র বা পেলভিসের স্ক্র্যাপিং। এতোগুলো অঙ্গ ফেলে দেওয়ার কারণে প্রতি বছরের নভেম্বরে শরীর স্ক্যান করতে হবে লুইসকে।

ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা আমার জন্য কঠিন হবে। তবে আমাকে কেবল এগিয়ে যেতে হবে ও কখনই হাল ছাড়লে চলবে না, বলেছেন লুইস। কিছু দিন আমি হতাশার গভীরে চলে গেলেও এখন বেশিরভাগ সময়ই আমি ভালো কাটাচ্ছি।

এরপর লুইস কাজে ফেরেন এবং ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’-এর জন্য তহবিল সংগ্রহ করে চলেছেন।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

ক্যান্সারে ৮ অঙ্গ হারানো নারী ফিরলেন কর্মক্ষেত্রে

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর আটটি অঙ্গ ফেলে দেওয়ার পরও স¤প্রতি কাজে ফিরেছেন যুক্তরাজ্যের এক নারী।

ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্স কাউন্টির হর্শামের বাসিন্দা ফায়ে লুইস ২০২৩ সালে তার অ্যাপেনডিক্সে একটি টিউমার খুঁজে পান। এর পর নিজের শেষকৃত্যের পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি।

তবে বিস্ময়করভাবে ‘সব ধরনের অস্ত্রোপচারের’ পরে ক্যান্সার মুক্ত হন লুইস। পাশাপাশি গ্যাটউইক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ডিসপ্যাচার হিসাবে নিজের কাজেও ফিরেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।

ডাক্তাররা বলে দিয়েছেন আমার দেহে এখন আর ক্যান্সারের কোনও অস্তিত্ব নেই। আর এটি ছিল বড়দিনে পাওয়া আমার সবচেয়ে বড় উপহার, বলেছেন লুইস।

আবার কাজ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে গত বছরও নিশ্চিত ছিলেন না লুইস।

কাজটি শারীরিকভাবে খুব কঠিন। তবে, বিমানবন্দরের এ কাজটি আমার খুব ভালো লাগে। আর আমি খুশি যে এই কাজ করতেই আমি ফিরতে পেরেছি।

লুইসের পেট ব্যথা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের বসন্তে। শুরুতে এটিকে পিরিয়ডের ব্যথা ভেবেছিলেন তিনি। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর তার ডিম্বাশয়ে সিস্ট ধরা পড়ে।

এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অপারেশন করেন লুইস। এরপর তার দেহে ‘সিউডোমাইক্সোমা পেরিটোনেই’ ধরা পড়ে। যেটি একটি বিরল টিউমার, যা পেটে জেলির মতো পদার্থ তৈরি করে।

লুইসের পেটে টিউমারটি ফেটে যাওয়ায় তার শরীরের আশপাশে ক্যান্সার কোষ ছড়িয়ে পড়ে। এর থেকে মুক্তি পেতে লুইসের অপারেশনের প্রয়োজন ছিল, ফলে তার দেহের আটটি অঙ্গ ফেলে দেন ডাক্তাররা।

ফেলে দেওয়া অঙ্গের মধ্যে রয়েছে তার দেহের প্লীহা, পিত্তথলি, অ্যাপেন্ডিক্স, ডিম্বাশয়, জরায়ু, ফেলোপিয়ান টিউব, নাভি, বড় ও ছোট আকারের ওমেন্টাম। পেট ও ডুওডেনাম’কে পেটের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে যোগ করে ওমেন্টাম।

লুইসের ফেলে দেওয়া অঙ্গের মধ্যে আরও রয়েছে লিভারের কিছু অংশ, ডায়াফ্রাম ও শ্রোণীচক্র বা পেলভিসের স্ক্র্যাপিং। এতোগুলো অঙ্গ ফেলে দেওয়ার কারণে প্রতি বছরের নভেম্বরে শরীর স্ক্যান করতে হবে লুইসকে।

ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা আমার জন্য কঠিন হবে। তবে আমাকে কেবল এগিয়ে যেতে হবে ও কখনই হাল ছাড়লে চলবে না, বলেছেন লুইস। কিছু দিন আমি হতাশার গভীরে চলে গেলেও এখন বেশিরভাগ সময়ই আমি ভালো কাটাচ্ছি।

এরপর লুইস কাজে ফেরেন এবং ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’-এর জন্য তহবিল সংগ্রহ করে চলেছেন।

 

ক্যান্সারে ৮ অঙ্গ হারানো নারী ফিরলেন কর্মক্ষেত্রে
প্রযুক্তি ডেস্ক: বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর আটটি অঙ্গ ফেলে দেওয়ার পরও স¤প্রতি কাজে ফিরেছেন যুক্তরাজ্যের এক নারী।

ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্স কাউন্টির হর্শামের বাসিন্দা ফায়ে লুইস ২০২৩ সালে তার অ্যাপেনডিক্সে একটি টিউমার খুঁজে পান। এর পর নিজের শেষকৃত্যের পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি।

তবে বিস্ময়করভাবে ‘সব ধরনের অস্ত্রোপচারের’ পরে ক্যান্সার মুক্ত হন লুইস। পাশাপাশি গ্যাটউইক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ডিসপ্যাচার হিসাবে নিজের কাজেও ফিরেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।

ডাক্তাররা বলে দিয়েছেন আমার দেহে এখন আর ক্যান্সারের কোনও অস্তিত্ব নেই। আর এটি ছিল বড়দিনে পাওয়া আমার সবচেয়ে বড় উপহার, বলেছেন লুইস।

আবার কাজ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে গত বছরও নিশ্চিত ছিলেন না লুইস।

কাজটি শারীরিকভাবে খুব কঠিন। তবে, বিমানবন্দরের এ কাজটি আমার খুব ভালো লাগে। আর আমি খুশি যে এই কাজ করতেই আমি ফিরতে পেরেছি।

লুইসের পেট ব্যথা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের বসন্তে। শুরুতে এটিকে পিরিয়ডের ব্যথা ভেবেছিলেন তিনি। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর তার ডিম্বাশয়ে সিস্ট ধরা পড়ে।

এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অপারেশন করেন লুইস। এরপর তার দেহে ‘সিউডোমাইক্সোমা পেরিটোনেই’ ধরা পড়ে। যেটি একটি বিরল টিউমার, যা পেটে জেলির মতো পদার্থ তৈরি করে।

লুইসের পেটে টিউমারটি ফেটে যাওয়ায় তার শরীরের আশপাশে ক্যান্সার কোষ ছড়িয়ে পড়ে। এর থেকে মুক্তি পেতে লুইসের অপারেশনের প্রয়োজন ছিল, ফলে তার দেহের আটটি অঙ্গ ফেলে দেন ডাক্তাররা।

ফেলে দেওয়া অঙ্গের মধ্যে রয়েছে তার দেহের প্লীহা, পিত্তথলি, অ্যাপেন্ডিক্স, ডিম্বাশয়, জরায়ু, ফেলোপিয়ান টিউব, নাভি, বড় ও ছোট আকারের ওমেন্টাম। পেট ও ডুওডেনাম’কে পেটের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে যোগ করে ওমেন্টাম।

লুইসের ফেলে দেওয়া অঙ্গের মধ্যে আরও রয়েছে লিভারের কিছু অংশ, ডায়াফ্রাম ও শ্রোণীচক্র বা পেলভিসের স্ক্র্যাপিং। এতোগুলো অঙ্গ ফেলে দেওয়ার কারণে প্রতি বছরের নভেম্বরে শরীর স্ক্যান করতে হবে লুইসকে।

ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা আমার জন্য কঠিন হবে। তবে আমাকে কেবল এগিয়ে যেতে হবে ও কখনই হাল ছাড়লে চলবে না, বলেছেন লুইস। কিছু দিন আমি হতাশার গভীরে চলে গেলেও এখন বেশিরভাগ সময়ই আমি ভালো কাটাচ্ছি।

এরপর লুইস কাজে ফেরেন এবং ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’-এর জন্য তহবিল সংগ্রহ করে চলেছেন।