ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

কোরবানির আগে পুড়ল ১৩ গরু ও ২ হাজার মুরগি

  • আপডেট সময় : ০১:০০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

মাদারীপুর সংবাদদাতা : মাদারীপুরের শিবচরে আগুন লেগে ১৩টি কোরবানির গরু ও মুরগির খামারের ২ হাজার মুরগি পুড়ে গেছে। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বুধবার ভোরে তার উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের রামরায়েরকান্দি এলাকায় মিলন মুন্সির গরুর খামারে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিলন মুন্সির গরুর খামারে ১৪টি গরু বাঁধা ছিল। আগুন লেগেছে টের পেয়ে রশি কেটে দিলে একটি গরু ছুটে যায়। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় খামারের বাকি গরুগুলোর রশি কাটতে পারেনি খামারিরা। এতে ১৩টি গরুর মৃত্যু হয় ও একটি শেডের ২ হাজার মুরগি মারা যায়৷ গরুগুলো বিক্রির জন্য বুধবার কুতুবপুর হাটে নেওয়ার কথা ছিল। মিলন মঙ্গলবার হাটে গিয়ে জায়গাও রেখে আসে। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। খামারি মিলন মুন্সী বলেন, “অনেক ধারদেনা করে আমি এই গরু ও মুরগির খামারটি গড়ে তুলেছিলাম। এখন আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এত বড় আর্থিক ধাক্কা আমি আর সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারব কী-না জানি না। আমার সব কিছুই শেষ হয়ে গেছে।” আগুনে প্রায় ৩৫ লাখের বেশি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মিলনের দাবি। ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা কী-না আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মিলন মুন্সিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।”

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কোরবানির আগে পুড়ল ১৩ গরু ও ২ হাজার মুরগি

আপডেট সময় : ০১:০০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

মাদারীপুর সংবাদদাতা : মাদারীপুরের শিবচরে আগুন লেগে ১৩টি কোরবানির গরু ও মুরগির খামারের ২ হাজার মুরগি পুড়ে গেছে। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বুধবার ভোরে তার উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের রামরায়েরকান্দি এলাকায় মিলন মুন্সির গরুর খামারে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিলন মুন্সির গরুর খামারে ১৪টি গরু বাঁধা ছিল। আগুন লেগেছে টের পেয়ে রশি কেটে দিলে একটি গরু ছুটে যায়। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় খামারের বাকি গরুগুলোর রশি কাটতে পারেনি খামারিরা। এতে ১৩টি গরুর মৃত্যু হয় ও একটি শেডের ২ হাজার মুরগি মারা যায়৷ গরুগুলো বিক্রির জন্য বুধবার কুতুবপুর হাটে নেওয়ার কথা ছিল। মিলন মঙ্গলবার হাটে গিয়ে জায়গাও রেখে আসে। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। খামারি মিলন মুন্সী বলেন, “অনেক ধারদেনা করে আমি এই গরু ও মুরগির খামারটি গড়ে তুলেছিলাম। এখন আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এত বড় আর্থিক ধাক্কা আমি আর সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারব কী-না জানি না। আমার সব কিছুই শেষ হয়ে গেছে।” আগুনে প্রায় ৩৫ লাখের বেশি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মিলনের দাবি। ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা কী-না আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মিলন মুন্সিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।”