নিজস্ব প্রতিবেদক : সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, “আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।”
গতকাল শনিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা তুলে দিয়ে জারি করা পরিপত্র হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণার পর সেই পরিপত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে, অর্থাৎ কোটা তুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনকারীরা মাঠে নেমেছিল। পরে তারা কোটা সংস্কারের দাবি সামনে নিয়ে আসে। দাবি আদায়ে গত সপ্তাহে মঙ্গলবার বাদ দিয়ে প্রতি দিনই বাংলা ব্লকেড নামে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায় মানুষের চলাচলে ভোগান্তি চরমে উঠে। কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করা হাই কোর্টের রায়ের বাস্তবায়নযোগ্য অংশ প্রকাশ হয়, যাতে বলা আছে, সব কোটাই থাকতে হবে। তবে সরকার চাইলে হার পরিবর্তন করতে পারবে। আর কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকলে মেধা তালিকা থেকে তা পূরণ করতে পারবে। তবে আন্দোলনকারীরা চার দফা দাবি থেকে সরে এসে এখন এক দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এক দফা হলো- ‘সকল গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।’