ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

কোটা আন্দোলনে ছাত্রদল

  • আপডেট সময় : ০২:২৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার সারাদেশে সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল। এছাড়া সাংগঠনিকভাবে নয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার থেকে মাঠে থাকার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল নেতারা। কোটা আন্দোলনের যৌক্তিক সমাধানের দাবি জানিয়ে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্বাদ্যালয়ে প্রশাসনের সহায়তায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “কোটাবিরোধী দেশপ্রেমিক ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ওপর গত সোমবার সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সসরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নারকীয় হামলা চালায়। ইতোমধ্যে হামলা ও হামলাকারীদের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহের কল্যাণেও সারাদেশের মানুষ এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন।” তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলসহ মল চত্বর, ভিসি চত্বর এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, ছাত্রলীগের এই নির্বিচার হামলা থেকে ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে কেউই রক্ষা পায়নি। বিশেষ করে, আমাদের শিক্ষার্থী বোনদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। সারাদেশে এসব হামলায় এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে শতাধিক নারী শিক্ষার্থী রয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। অনেকেই এই মুহূর্তে বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন এই অবৈধ সরকারের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখার গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। রাষ্ট্রের সব অন্যায়, অত্যাচারের পক্ষে এই সংগঠনটি লাঠিয়ালের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের এহেন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারই সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হচ্ছে গত ১৫ জুলাই, ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।”
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আজ থেকে কোটা প্রথা বাতিলের এই দাবিতে সবসময় মাঠে থেকে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আন্দোলনরত সব শিক্ষার্থীকে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার মূল উৎস তথা অবৈধ ফ্যাসিবাদী এই সরকার হটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা তথা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যয়বিচারভিত্তিক একটি সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।” সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কোটা আন্দোলনে ছাত্রদল

আপডেট সময় : ০২:২৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার সারাদেশে সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল। এছাড়া সাংগঠনিকভাবে নয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার থেকে মাঠে থাকার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল নেতারা। কোটা আন্দোলনের যৌক্তিক সমাধানের দাবি জানিয়ে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্বাদ্যালয়ে প্রশাসনের সহায়তায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “কোটাবিরোধী দেশপ্রেমিক ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ওপর গত সোমবার সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সসরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নারকীয় হামলা চালায়। ইতোমধ্যে হামলা ও হামলাকারীদের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহের কল্যাণেও সারাদেশের মানুষ এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন।” তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলসহ মল চত্বর, ভিসি চত্বর এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, ছাত্রলীগের এই নির্বিচার হামলা থেকে ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে কেউই রক্ষা পায়নি। বিশেষ করে, আমাদের শিক্ষার্থী বোনদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। সারাদেশে এসব হামলায় এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে শতাধিক নারী শিক্ষার্থী রয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। অনেকেই এই মুহূর্তে বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন এই অবৈধ সরকারের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখার গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। রাষ্ট্রের সব অন্যায়, অত্যাচারের পক্ষে এই সংগঠনটি লাঠিয়ালের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের এহেন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারই সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হচ্ছে গত ১৫ জুলাই, ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।”
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আজ থেকে কোটা প্রথা বাতিলের এই দাবিতে সবসময় মাঠে থেকে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আন্দোলনরত সব শিক্ষার্থীকে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার মূল উৎস তথা অবৈধ ফ্যাসিবাদী এই সরকার হটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা তথা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যয়বিচারভিত্তিক একটি সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।” সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।