ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কিডনি রোগের মহৌষধ চালকুমড়া

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: বাংলাদেশের জনপ্রিয় জাতীয় সবজি চালকুমড়া। সংস্কৃত ভাষায় একে ‘কুষ্মা-’ বলা হয়। বাজারে আমরা দু রকমের কুমড়া দেখতে পাই— লাল বা হলুদ কুমড়া। আর সাদা চালকুমড়া। দামে অপেক্ষাকৃত কম হলেও দু ধরনের কুমড়াই গুণের আধার। চালকুমড়ার বৈজ্ঞানিক নাম বেনিনকাসা হিসপিডা। পুষ্টিতে ভরপুর চালকুমড়া। গরমের দিনে শরীর ঠা-া রাখতে এই সবজির জুড়ি মেলা ভার। সস্তার এই সবজিতেই কিডনি স্টোন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে, বেরোবে অতিরিক্ত টক্সিনও। চালকুমড়োর মধ্যে থাকে অ্যাফ্রোডিসিয়াক, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। বীর্যের গুণগত মান উন্নত করতেও ভূমিকা আছে এই চালকুমড়ার। চালকুমড়া তরকারি হিসেবে খাওয়া ছাড়াও মোরব্বা, হালুয়া, পায়েস এবং কুমড়া বড়া তৈরি করেও খাওয়া হয়। শুধু চালকুমড়াই নয় এর কচি পাতা ও ডগাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। চালকুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা ও ফাইবার, তাই চালকুমড়ার উপকারিতা অনেক। যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে চালকুমড়া। চালকুমড়া নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। চালকুমড়ায় রয়েছে– খাদ্যশক্তি, আমিষ, শর্করা, ফাইবার, চর্বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, লৌহ, জিংক, ফসফরাস। জেনে নিন চালকুমড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ভাব কমাতেও সাহায্য করে চালকুমড়া। ডাল কিংবা তরকারি বানিয়েও রোজ খাওয়া যায় চালকুমড়ো। এতে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কিডনির পাথরকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় এই চালকুমড়া। পাকা লাল কুমড়ার তুলনায় চালকুমড়ার অনেক বেশি ভেষজ গুণ আছে। হার্টের পক্ষে ভালো, মনোবিকার দূর করে, তৃষ্ণা দূর করে, অরুচি নাশ করে, বাত, পিত্ত, কফ দূর করে। চালকুমড়া বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিসের এবং অশ্মরী অর্থাৎ পাথরি রোগের মহৌষধ। চালকুমড়ার বীজ থেকে যে তেল বের করা হয় সেই তেলও পিত্তনাশক, শীতল, চুলের বৃদ্ধির পক্ষে ভালো তবে গুরুপাক ও শ্লেষ্মাকারক। চালকুমড়ার লতাপাতারও শর্করা ও পাথরি নাশক গুণ আছে। আয়ুর্বেদের মতে, চালকুমড়া পুষ্টিকারক বীর্যবর্ধক ও গরিষ্ঠ। রক্তের দোষ অর্থাৎ রক্তবিকার দূর করে, বায়ুর প্রকোপ কমিয়ে দেয়। কচি কুমড়া শীতল ও পিত্তনাশক। তবে মাঝারি মাপের কাঁচা কুমড়াকে কফকারক বলা হয়েছে। বড় পাকা কুমড়া শীতল নয়, তবে যদি একটু সোডা বা লবণ মিশিয়ে সিদ্ধ করে খাওয়া যায় তাহলে ক্ষুধা বাড়িয়ে তোলে, হজম করা যায় তাড়াতাড়ি, মূত্রাশয় পরিষ্কার করে, মানসিক ব্যাধি সারায় এবং শরীরের আরও অনেক দোষ দূর করে। পাকা চালকুমড়ার বীজ কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধের কাজ করে।
চালকুমড়া এন্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসেবে পেট এবং অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ইনফেকশন বা আলসার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি মসলাযুক্ত খাবার বা দীর্ঘদিনের উপবাসের কারণে পাকস্থলিতে তৈরি হওয়া এসিড দূর করতে সাহায্য করে। চালকুমড়ার রস একটু চিনি ও জাফরানের সঙ্গে পিষে খেলে অজীর্ণ ভালো হয়, পুষ্টি বাড়ে, ফুসফুস ভালো থাকে এবং বিভিন্ন রোগে উপকার পাওয়া যায়। যক্ষ্মা রোগের মহৌষধ। প্রতিদিন চালকুমড়ার রস খেলে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ কেটে যায়। চালকুমড়া রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে, যাদের কাশের সঙ্গে রক্ত বের হয় এমন ক্ষেত্রে চালকুমড়ার রস খেলে ভালো হয়ে যায়। এতে রক্ত বের হওয়া থেমে যায়। চালকুমড়ার রস ৩ থেকে ৪ চা চামচ একটু চিনি মিশিয়ে খাবেন। রক্ত ওঠা বা পড়া যেটাই হোক না কেন, বন্ধ হবে। আরও ভালো হয় একটু, বাসক পাতার রস ঐ সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া।
হৃদযন্ত্রের বৃদ্ধি হলে কি অসুবিধে হয় সব চিকিৎসকই জানেন। এক্ষেত্রে রোগীকে পাকা চালকুমড়ার হালুয়া খাওয়ানোর অভ্যাস করলে ভালো হবে। এই সবজি বলকারক, পুষ্টিকর, ফুসফুসও ভাল রাখে। পেটের যে কোনো জায়গায় হোক না কেনও, এই কুমড়ার শাসকে শুকিয়ে পুড়িয়ে (অন্তর্ধুম) তার চূর্ণ (আধ গ্রাম মাত্রায়) গরম পানি খেলে উপশম হবেই। চালকুমড়ার বীজের শাস ২ গ্রাম আন্দাজ বেটে পানিসহ খেতে হয়। চালকুমড়ার বীজ কৃমি নাশ করে।
পেট ফাপা ও প্রস্রাব ভালো যদি না হয় এ ক্ষেত্রে চালকুমড়ার রস পেটে মালিশ করলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে দুটোই সহজ হয়। আবার দু-চার চা চামচ চালকুমড়ার রস বের করে নিয়ে তাতে চিনি মিশিয়ে খেলে অম্বল বা অজীর্ণ রোগ সারে।
চালকুমড়া হলো জন্ডিস রোগের সবচেয়ে সস্তা ও সুলভ ওষুধ। চালকুমড়ার টুকরো রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে খেলে বা টাটকা চালকুমড়ার তরকারি রান্না করে খেলে জনডিস তাড়াতাড়ি সেরে যায়। মৃগী ও উন্মাদ রোগের পক্ষেও এটি উপকারী। চালকুমড়ার মোরব্বা নিয়মিত খেলে মাথা গরম হওয়া কমে, মাথা ঘোরা সেরে যায়, উন্মাদ রোগ সারে এবং খুব ভাল ঘুম হয়। ত্বক এবং চুলের যতেœও চালকুমড়ার রস অনেক সাহয্য করে। চালকুমড়ার রস নিয়মিত ত্বক ও চুলে মাখলে চুল চকচকে হয় এবং ত্বক সুন্দর হয়। বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও চাল কুমড়া সাহায্য করে। ওজন ও মেদ কমাতে সাহায্য করে। চালকুমড়া শরীরের ওজন ও মেদ কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্ত নালীতে রক্ত চলাচল সহজতর করে। চাল কুমড়ো অধিক ক্যালরি যুক্ত খাবারের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিডনি রোগের মহৌষধ চালকুমড়া

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: বাংলাদেশের জনপ্রিয় জাতীয় সবজি চালকুমড়া। সংস্কৃত ভাষায় একে ‘কুষ্মা-’ বলা হয়। বাজারে আমরা দু রকমের কুমড়া দেখতে পাই— লাল বা হলুদ কুমড়া। আর সাদা চালকুমড়া। দামে অপেক্ষাকৃত কম হলেও দু ধরনের কুমড়াই গুণের আধার। চালকুমড়ার বৈজ্ঞানিক নাম বেনিনকাসা হিসপিডা। পুষ্টিতে ভরপুর চালকুমড়া। গরমের দিনে শরীর ঠা-া রাখতে এই সবজির জুড়ি মেলা ভার। সস্তার এই সবজিতেই কিডনি স্টোন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে, বেরোবে অতিরিক্ত টক্সিনও। চালকুমড়োর মধ্যে থাকে অ্যাফ্রোডিসিয়াক, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। বীর্যের গুণগত মান উন্নত করতেও ভূমিকা আছে এই চালকুমড়ার। চালকুমড়া তরকারি হিসেবে খাওয়া ছাড়াও মোরব্বা, হালুয়া, পায়েস এবং কুমড়া বড়া তৈরি করেও খাওয়া হয়। শুধু চালকুমড়াই নয় এর কচি পাতা ও ডগাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। চালকুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা ও ফাইবার, তাই চালকুমড়ার উপকারিতা অনেক। যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে চালকুমড়া। চালকুমড়া নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। চালকুমড়ায় রয়েছে– খাদ্যশক্তি, আমিষ, শর্করা, ফাইবার, চর্বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, লৌহ, জিংক, ফসফরাস। জেনে নিন চালকুমড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ভাব কমাতেও সাহায্য করে চালকুমড়া। ডাল কিংবা তরকারি বানিয়েও রোজ খাওয়া যায় চালকুমড়ো। এতে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কিডনির পাথরকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় এই চালকুমড়া। পাকা লাল কুমড়ার তুলনায় চালকুমড়ার অনেক বেশি ভেষজ গুণ আছে। হার্টের পক্ষে ভালো, মনোবিকার দূর করে, তৃষ্ণা দূর করে, অরুচি নাশ করে, বাত, পিত্ত, কফ দূর করে। চালকুমড়া বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিসের এবং অশ্মরী অর্থাৎ পাথরি রোগের মহৌষধ। চালকুমড়ার বীজ থেকে যে তেল বের করা হয় সেই তেলও পিত্তনাশক, শীতল, চুলের বৃদ্ধির পক্ষে ভালো তবে গুরুপাক ও শ্লেষ্মাকারক। চালকুমড়ার লতাপাতারও শর্করা ও পাথরি নাশক গুণ আছে। আয়ুর্বেদের মতে, চালকুমড়া পুষ্টিকারক বীর্যবর্ধক ও গরিষ্ঠ। রক্তের দোষ অর্থাৎ রক্তবিকার দূর করে, বায়ুর প্রকোপ কমিয়ে দেয়। কচি কুমড়া শীতল ও পিত্তনাশক। তবে মাঝারি মাপের কাঁচা কুমড়াকে কফকারক বলা হয়েছে। বড় পাকা কুমড়া শীতল নয়, তবে যদি একটু সোডা বা লবণ মিশিয়ে সিদ্ধ করে খাওয়া যায় তাহলে ক্ষুধা বাড়িয়ে তোলে, হজম করা যায় তাড়াতাড়ি, মূত্রাশয় পরিষ্কার করে, মানসিক ব্যাধি সারায় এবং শরীরের আরও অনেক দোষ দূর করে। পাকা চালকুমড়ার বীজ কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধের কাজ করে।
চালকুমড়া এন্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসেবে পেট এবং অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ইনফেকশন বা আলসার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি মসলাযুক্ত খাবার বা দীর্ঘদিনের উপবাসের কারণে পাকস্থলিতে তৈরি হওয়া এসিড দূর করতে সাহায্য করে। চালকুমড়ার রস একটু চিনি ও জাফরানের সঙ্গে পিষে খেলে অজীর্ণ ভালো হয়, পুষ্টি বাড়ে, ফুসফুস ভালো থাকে এবং বিভিন্ন রোগে উপকার পাওয়া যায়। যক্ষ্মা রোগের মহৌষধ। প্রতিদিন চালকুমড়ার রস খেলে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ কেটে যায়। চালকুমড়া রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে, যাদের কাশের সঙ্গে রক্ত বের হয় এমন ক্ষেত্রে চালকুমড়ার রস খেলে ভালো হয়ে যায়। এতে রক্ত বের হওয়া থেমে যায়। চালকুমড়ার রস ৩ থেকে ৪ চা চামচ একটু চিনি মিশিয়ে খাবেন। রক্ত ওঠা বা পড়া যেটাই হোক না কেন, বন্ধ হবে। আরও ভালো হয় একটু, বাসক পাতার রস ঐ সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া।
হৃদযন্ত্রের বৃদ্ধি হলে কি অসুবিধে হয় সব চিকিৎসকই জানেন। এক্ষেত্রে রোগীকে পাকা চালকুমড়ার হালুয়া খাওয়ানোর অভ্যাস করলে ভালো হবে। এই সবজি বলকারক, পুষ্টিকর, ফুসফুসও ভাল রাখে। পেটের যে কোনো জায়গায় হোক না কেনও, এই কুমড়ার শাসকে শুকিয়ে পুড়িয়ে (অন্তর্ধুম) তার চূর্ণ (আধ গ্রাম মাত্রায়) গরম পানি খেলে উপশম হবেই। চালকুমড়ার বীজের শাস ২ গ্রাম আন্দাজ বেটে পানিসহ খেতে হয়। চালকুমড়ার বীজ কৃমি নাশ করে।
পেট ফাপা ও প্রস্রাব ভালো যদি না হয় এ ক্ষেত্রে চালকুমড়ার রস পেটে মালিশ করলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে দুটোই সহজ হয়। আবার দু-চার চা চামচ চালকুমড়ার রস বের করে নিয়ে তাতে চিনি মিশিয়ে খেলে অম্বল বা অজীর্ণ রোগ সারে।
চালকুমড়া হলো জন্ডিস রোগের সবচেয়ে সস্তা ও সুলভ ওষুধ। চালকুমড়ার টুকরো রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে খেলে বা টাটকা চালকুমড়ার তরকারি রান্না করে খেলে জনডিস তাড়াতাড়ি সেরে যায়। মৃগী ও উন্মাদ রোগের পক্ষেও এটি উপকারী। চালকুমড়ার মোরব্বা নিয়মিত খেলে মাথা গরম হওয়া কমে, মাথা ঘোরা সেরে যায়, উন্মাদ রোগ সারে এবং খুব ভাল ঘুম হয়। ত্বক এবং চুলের যতেœও চালকুমড়ার রস অনেক সাহয্য করে। চালকুমড়ার রস নিয়মিত ত্বক ও চুলে মাখলে চুল চকচকে হয় এবং ত্বক সুন্দর হয়। বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও চাল কুমড়া সাহায্য করে। ওজন ও মেদ কমাতে সাহায্য করে। চালকুমড়া শরীরের ওজন ও মেদ কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্ত নালীতে রক্ত চলাচল সহজতর করে। চাল কুমড়ো অধিক ক্যালরি যুক্ত খাবারের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়।