ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘ওয়ার্ক ভিসা’ ছাড়াই চাকরির আবেদন করা যাবে যুক্তরাষ্ট্রে

  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ব্যবসায়িক কাজ বা পর্যটন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারী ব্যক্তিরা এখন দেশটিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। চাকরির সাক্ষাৎকারও দিতে পারবেন। ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) এ কথা জানিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে তাঁদের ভিসার স্ট্যাটাস বদল করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। ইউএসসিআইএসের টুইটার পেজে এ কথা জানানো হয়েছে।
লাইভ মিন্টের খবরে বলা হয়েছে, এত দিন পর্যন্ত পর্যটক বা ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে পারলেও যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে পারতেন না বিদেশি নাগরিকেরা। সেই নিয়ম শিথিল করা হলো। যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় বি-১ এবং বি-২ ভিসা। বি-১ ভিসা সাধারণত স্বল্পমেয়াদি ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্য দেওয়া হয়, আর বি-২ ভিসা পর্যটনের জন্য দেওয়া হয়।
সম্প্রতি গুগল, মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের মতো বড় বড় মার্কিন কোম্পানি কর্মী ছাঁটাই করছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত হাজারো বিদেশি নাগরিক তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। এই কর্মীরা এখন দেশটিতে থাকার জন্য তাঁদের কাজের ভিসার অধীন নির্ধারিত ২ মাসের (৬০ দিন) মধ্যে নতুন কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে ঝক্কি পোহাচ্ছেন। এই নতুন ঘোষণা তাঁদের স্বস্তি দেবে। কারণ, এতে ভিসার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে ট্যুরিস্ট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় পরিণত করতে পারবেন তাঁরা। এমনকি চাকরি হারানোর পরও বিদেশিদের আমেরিকায় থাকার সময়সীমাও আবেদন করে বাড়িয়ে নেওয়া যাবে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে বি-১ ও বি-২ ভিসা থেকে পাল্টে সেটি ওয়ার্ক ভিসা করে নিতে হবে। আর এ ভিসা স্ট্যাটাস পাল্টানোর অনুরোধ জানিয়ে আবেদন জমা করতে হবে। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়, তাহলে আবেদনকারীকে আমেরিকা ছেড়ে চলে যেতে হবে।
চাকরি থেকে ছাঁটাই হলে কয়েক দিনের মধ্যে বি-১ বা বি-২ ভিসার বৈধতা শেষ হয়ে যেত। ইউএসসিআইএস এ ব্যাপারে কিছু বিষয় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। যেমন বি-১ বা বি-২ ভিসাধারীরা বি-১ স্ট্যাটাস বা বি-২ স্ট্যাটাসে থাকাকালীন আমেরিকার লেবার মার্কেটে কাজ করতে পারবেন না। কোনো নতুন কাজে যোগ দেওয়ার আগে বি-১ বা বি-২ থেকে কর্মসংস্থান-অনুমোদিত স্ট্যাটাসে ভিসার রূপান্তর প্রয়োজন। নতুন কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই এটি কার্যকর করতে হবে। যদি ভিসার স্থিতির পরিবর্তনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়, তবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যেতে হবে অথবা তাঁদের নতুন চাকরি শুরু করার আগে একটি বৈধ নিয়োগ-অনুমোদিত স্থিতিতে পুনরায় প্রবেশ করতে হবে।
এদিকে মার্কিন সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস জানিয়েছে, আমেরিকায় অনাবাসী কর্মীদের ছাঁটাই হলে অনেক সময় তাঁরা বিভ্রান্তিতে পড়েন। অনেকে ভাবতে শুরু করেন, ‘ছাঁটাইয়ের ৬০ দিনের মধ্যেই নতুন চাকরি খুঁজতে হবে। নয়তো ভিসা বাতিল হওয়ায় দেশ ছাড়তে হবে।’ তবে বিষয়টি সে রকম নয়, তা স্পষ্ট করেছে ইউএসসিআইএস। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চাকরির শেষ দিন থেকেই এই গ্রেস পিরিয়ড শুরু হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ওয়ার্ক ভিসা’ ছাড়াই চাকরির আবেদন করা যাবে যুক্তরাষ্ট্রে

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : ব্যবসায়িক কাজ বা পর্যটন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারী ব্যক্তিরা এখন দেশটিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। চাকরির সাক্ষাৎকারও দিতে পারবেন। ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) এ কথা জানিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে তাঁদের ভিসার স্ট্যাটাস বদল করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। ইউএসসিআইএসের টুইটার পেজে এ কথা জানানো হয়েছে।
লাইভ মিন্টের খবরে বলা হয়েছে, এত দিন পর্যন্ত পর্যটক বা ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে পারলেও যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে পারতেন না বিদেশি নাগরিকেরা। সেই নিয়ম শিথিল করা হলো। যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় বি-১ এবং বি-২ ভিসা। বি-১ ভিসা সাধারণত স্বল্পমেয়াদি ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্য দেওয়া হয়, আর বি-২ ভিসা পর্যটনের জন্য দেওয়া হয়।
সম্প্রতি গুগল, মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের মতো বড় বড় মার্কিন কোম্পানি কর্মী ছাঁটাই করছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত হাজারো বিদেশি নাগরিক তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। এই কর্মীরা এখন দেশটিতে থাকার জন্য তাঁদের কাজের ভিসার অধীন নির্ধারিত ২ মাসের (৬০ দিন) মধ্যে নতুন কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে ঝক্কি পোহাচ্ছেন। এই নতুন ঘোষণা তাঁদের স্বস্তি দেবে। কারণ, এতে ভিসার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে ট্যুরিস্ট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় পরিণত করতে পারবেন তাঁরা। এমনকি চাকরি হারানোর পরও বিদেশিদের আমেরিকায় থাকার সময়সীমাও আবেদন করে বাড়িয়ে নেওয়া যাবে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে বি-১ ও বি-২ ভিসা থেকে পাল্টে সেটি ওয়ার্ক ভিসা করে নিতে হবে। আর এ ভিসা স্ট্যাটাস পাল্টানোর অনুরোধ জানিয়ে আবেদন জমা করতে হবে। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়, তাহলে আবেদনকারীকে আমেরিকা ছেড়ে চলে যেতে হবে।
চাকরি থেকে ছাঁটাই হলে কয়েক দিনের মধ্যে বি-১ বা বি-২ ভিসার বৈধতা শেষ হয়ে যেত। ইউএসসিআইএস এ ব্যাপারে কিছু বিষয় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। যেমন বি-১ বা বি-২ ভিসাধারীরা বি-১ স্ট্যাটাস বা বি-২ স্ট্যাটাসে থাকাকালীন আমেরিকার লেবার মার্কেটে কাজ করতে পারবেন না। কোনো নতুন কাজে যোগ দেওয়ার আগে বি-১ বা বি-২ থেকে কর্মসংস্থান-অনুমোদিত স্ট্যাটাসে ভিসার রূপান্তর প্রয়োজন। নতুন কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই এটি কার্যকর করতে হবে। যদি ভিসার স্থিতির পরিবর্তনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়, তবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যেতে হবে অথবা তাঁদের নতুন চাকরি শুরু করার আগে একটি বৈধ নিয়োগ-অনুমোদিত স্থিতিতে পুনরায় প্রবেশ করতে হবে।
এদিকে মার্কিন সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস জানিয়েছে, আমেরিকায় অনাবাসী কর্মীদের ছাঁটাই হলে অনেক সময় তাঁরা বিভ্রান্তিতে পড়েন। অনেকে ভাবতে শুরু করেন, ‘ছাঁটাইয়ের ৬০ দিনের মধ্যেই নতুন চাকরি খুঁজতে হবে। নয়তো ভিসা বাতিল হওয়ায় দেশ ছাড়তে হবে।’ তবে বিষয়টি সে রকম নয়, তা স্পষ্ট করেছে ইউএসসিআইএস। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চাকরির শেষ দিন থেকেই এই গ্রেস পিরিয়ড শুরু হয়।