ক্রীড়া ডেস্ক: পরপর দিন দুই দিন সংবাদ সম্মেলনে এলেন প্যাট কামিন্স। ফাইনালের আগের দিন এসে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বললেন আশা, স্বপ্ন, সম্ভাবনার কথা। ফাইনালের পর চোখে খুশির ঝিলিক আর মুখে হাসি নিয়ে তিনি বললেন স্বপ্ন পূরণর তৃপ্তির কথা। কামিন্সের মতে, এই শিরোপা জয়ের চেয়ে বড় সাফল্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর হয় না। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের এই কথায় একটু খটকা লাগতে পারে পারে অনেকের। খানিকটা বিস্ময়ও জাগতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সংস্কৃতিতে তো টেস্ট ক্রিকেট অন্য উচ্চতায়! এই বছরই ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ ঝড়ের সঙ্গে লড়াই করে অ্যাশেজ ধরে রাখা নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে জিতেছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা, যেটিকে বলা যায় টেস্টের বিশ্বকাপ। দুটিতেই অধিনায়ক ছিলেন কামিন্স। কিন্তু আহমেদাবাদে রোববার ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ই সবকিছুই ওপরে, জানিয়ে দিলেন কামিন্স। “এটা বিশাল আমার মনে হয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ চূড়া হলো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়। বিশেষ করে এখানে, এই ভারতে এত বিশাল সংখ্যক দর্শকের সামনে এটা সত্যিই বিরাট কিছু। সবার জন্য এই বছর বিশেষ কিছু, তবে আমাদের ক্রিকেটে দল ভারতে এসে যা করলৃএর আগে অ্যাশেজ, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এরপর এই শিরোপা, সব মিলিয়ে এটা অনেক বড় এবং এই মুহূর্তগুলোই সবাই আজীবন লালন করে।” পাল্টা প্রশ্নও ছুটে গেল দ্রুতই, এটিই কেন সবচেয়ে উঁচু চূড়া? কামিন্স ব্যাখ্যা করলেন তার মতো করে।
“এখানে সব (শীর্ষ) আন্তর্জাতিক দল খেলে। প্রতি চার বছর পরপর এখানে খেলার সুযোগ মেলে। কারও ক্যারিয়ার ১০ বছরের হলে সর্বোচ্চ দুটি সুযোগ হয়তো পায় সে। এই বিশ্বকাপে গোটা ক্রিকেট বিশ্বই থমকে থাকে। এর চেয়ে ভালো কিছু তাই আর হয় না।” কিন্তু ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অন্যরাও বরাবরই সবকিছুর ওপরে জায়গা দেন টেস্ট ক্রিকেটকেই। সবচেয়ে আদি ও অভিজাত সংস্করণ এটি, ক্রিকেটারদের ও যে কোনো দলের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা হয় এখানেই। এই সংস্করণের মর্যাদাও সবচেয়ে বেশি বলেই মনে করা হয়। গত জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়েই শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া। নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাই আবার প্রশ্ন ছুটে গেল কামিন্সের কাছে। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক নিজের ভাবনায় পরিষ্কার। “এটিই সেরা, কোনো সংশয় নেই। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও বড় ব্যাপার ছিল এবং দুই বছর ধরে চলা প্রতিযোগিতা এটি। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপৃ এটির ইতিহাস এত সমৃদ্ধ এবং ভারতের মতো জায়গায় যেখানে কন্ডিশন আমাদের দেশের চেয়ে এত ভিন্নৃ এতটা ক্লান্তিকর, এখানে ৫-৬ সপ্তাহে ১১ ম্যাচ খেলা অনেক কঠিন। যেভাবে দলটা এককাট্টা হয়ে এটা পার করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত পুরস্কার হাতে নিতে পেরেছে এটিই সর্বোচ্চ চূড়া।”