ঢাকা ১১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপি কমতে পারে

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৭০ সাল নাগাদ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১৭ শতাংশ কমতে পারে বলে ধারণা করছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। আর ২১০০ সালের মধ্যে জিডিপি কমতে পারে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার ( ৩১ অক্টোবর) এডিবি শক্তিশালী এবং আরও ফলপ্রসু জলবায়ু পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ব্যাংকটি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং শ্রম উৎপাদনশীলতা কমার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে নিম্ন আয় ও ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশেগুলোর। এই অঞ্চলের জন্য হুমকিস্বরূপ ক্ষতিকারক প্রভাবগুলোর একটি বিবরণ দেওয়া হয় প্রতিবেদনে। জলবায়ু সংকট বাড়তে থাকলে এই অঞ্চলের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ উপকূলীয় বন্যার হুমকির সম্মুখীন হবে এবং ২০৭০ সালের মধ্যে বার্ষিক ট্রিলিয়ন ডলার উপকূলীয় সম্পদের ক্ষতি হতে পারে। এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলে ক্রান্তীয় ঝড়, তাপপ্রবাহ এবং বন্যার প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং মানুষের দুর্ভোগ তৈরি হবে। তাই দেরি হওয়ার আগেই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই জলবায়ু প্রতিবেদনটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশগুলোর সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন ও জরুরি পদক্ষেপের সুপারিশ তুলে ধরেছে।’ এডিবি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে এই শতাব্দীর মধ্যে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৭.৪ ফারেনহাইট) বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বর্তমান প্রদক্ষেপগুলো যথেষ্ঠ নয়। ২০০০ সাল থেকে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের তীব্রতা ৫০ শতাংশ কমলেও অঞ্চলটি এখনও বিশ্বব্যাপী গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় অর্ধেক উৎপাদন করে। এডিবি বলেছে, দ্রুত উৎপাদন, ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা এবং বর্ধিত অভ্যন্তরীণ ব্যবহার গত দুই দশকে নির্গমনকে বাড়িয়েছে। দুই-তৃতীয়াংশ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধির জন্য চীন দায়ী। এছাড়া, ১৯ দশমিক ৩ শতাংশের জন্য দক্ষিণ এশিয়া এবং ১৫ দশমিক ৪ শতাংশের জন্য দায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এডিবির প্রতিবেদনে ৪৬টি দেশকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল হিসেবে গণনা করা হয়েছে। যা জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড বাদে জর্জিয়া থেকে সামোয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। উল্লেখ্য, আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক হিসেবে ১৯৬৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর এডিবি প্রতিষ্ঠিত হয়। এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও দ্রুত, বেগবান ও সহজ করাই ব্যাংকটির মূল উদ্দেশ্য।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপি কমতে পারে

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৭০ সাল নাগাদ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১৭ শতাংশ কমতে পারে বলে ধারণা করছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। আর ২১০০ সালের মধ্যে জিডিপি কমতে পারে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার ( ৩১ অক্টোবর) এডিবি শক্তিশালী এবং আরও ফলপ্রসু জলবায়ু পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ব্যাংকটি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং শ্রম উৎপাদনশীলতা কমার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে নিম্ন আয় ও ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশেগুলোর। এই অঞ্চলের জন্য হুমকিস্বরূপ ক্ষতিকারক প্রভাবগুলোর একটি বিবরণ দেওয়া হয় প্রতিবেদনে। জলবায়ু সংকট বাড়তে থাকলে এই অঞ্চলের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ উপকূলীয় বন্যার হুমকির সম্মুখীন হবে এবং ২০৭০ সালের মধ্যে বার্ষিক ট্রিলিয়ন ডলার উপকূলীয় সম্পদের ক্ষতি হতে পারে। এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলে ক্রান্তীয় ঝড়, তাপপ্রবাহ এবং বন্যার প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং মানুষের দুর্ভোগ তৈরি হবে। তাই দেরি হওয়ার আগেই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই জলবায়ু প্রতিবেদনটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশগুলোর সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন ও জরুরি পদক্ষেপের সুপারিশ তুলে ধরেছে।’ এডিবি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে এই শতাব্দীর মধ্যে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৭.৪ ফারেনহাইট) বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বর্তমান প্রদক্ষেপগুলো যথেষ্ঠ নয়। ২০০০ সাল থেকে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের তীব্রতা ৫০ শতাংশ কমলেও অঞ্চলটি এখনও বিশ্বব্যাপী গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় অর্ধেক উৎপাদন করে। এডিবি বলেছে, দ্রুত উৎপাদন, ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা এবং বর্ধিত অভ্যন্তরীণ ব্যবহার গত দুই দশকে নির্গমনকে বাড়িয়েছে। দুই-তৃতীয়াংশ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধির জন্য চীন দায়ী। এছাড়া, ১৯ দশমিক ৩ শতাংশের জন্য দক্ষিণ এশিয়া এবং ১৫ দশমিক ৪ শতাংশের জন্য দায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এডিবির প্রতিবেদনে ৪৬টি দেশকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল হিসেবে গণনা করা হয়েছে। যা জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড বাদে জর্জিয়া থেকে সামোয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। উল্লেখ্য, আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক হিসেবে ১৯৬৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর এডিবি প্রতিষ্ঠিত হয়। এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও দ্রুত, বেগবান ও সহজ করাই ব্যাংকটির মূল উদ্দেশ্য।