ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উত্তর-পূর্ব-মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা

  • আপডেট সময় : ০২:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। একই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে। এখন পদ্মা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া তিস্তা, ধরলাসহ উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য সীমান্তবর্তী নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে এবং কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নি¤œাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে জানিয়ে প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মধ্যাঞ্চলের শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নি¤œাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। পদ্মা নদীর পানি সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা গত কয়েক দিনের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি ১১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, সন্দ্বীপে এ পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী তিনদিন বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলে ৮০, নিকলীতে ৬৭, ময়মনসিংহে ২৯, নেত্রকোনায় ২২, চট্টগ্রামে ৪০, সীতাকু-ে ৭৩, রাঙ্গামাটিতে ২৯, মাইজদীকোর্টে ১৮, ফেনীতে ৬২, হাতিয়ায় ১৬, কুতুবদিয়ায় ১৬, সিলেটে ৪৭, রাজশাহীতে ১৫, তাড়াশে ২৪, রংপুরে ১১, দিনাজপুরে ১১, তেঁতুলিয়ায় ৩৬, রাজারহাটে ৩০, চুয়াডাঙ্গায় ৬০, কুমারখালীতে ৩৪, পটুয়াখালীতে ৪৯, খেপুপাড়ায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উত্তর-পূর্ব-মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা

আপডেট সময় : ০২:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। একই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে। এখন পদ্মা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া তিস্তা, ধরলাসহ উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য সীমান্তবর্তী নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে এবং কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নি¤œাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে জানিয়ে প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মধ্যাঞ্চলের শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নি¤œাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। পদ্মা নদীর পানি সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা গত কয়েক দিনের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি ১১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, সন্দ্বীপে এ পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী তিনদিন বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলে ৮০, নিকলীতে ৬৭, ময়মনসিংহে ২৯, নেত্রকোনায় ২২, চট্টগ্রামে ৪০, সীতাকু-ে ৭৩, রাঙ্গামাটিতে ২৯, মাইজদীকোর্টে ১৮, ফেনীতে ৬২, হাতিয়ায় ১৬, কুতুবদিয়ায় ১৬, সিলেটে ৪৭, রাজশাহীতে ১৫, তাড়াশে ২৪, রংপুরে ১১, দিনাজপুরে ১১, তেঁতুলিয়ায় ৩৬, রাজারহাটে ৩০, চুয়াডাঙ্গায় ৬০, কুমারখালীতে ৩৪, পটুয়াখালীতে ৪৯, খেপুপাড়ায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।