ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

উজিরপুরের লোককথা

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে

‘‘মোগো মনু ভালো
আম টোহাইতে গ্যালো
আমে অইলো আঁশ
মোগো মনু ম্যাটটিক পাস।’’

প্রেক্ষাপট: বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ‘হস্তিশুণ্ড’ একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। এ গ্রামের একটি পরিবারের সন্তান জন্ম নেয়ার পর কান্নাকাটি করছে। ছোট শিশুরা সাধারণত ৩/৪ বছর পর্যন্ত কান্না করে থাকে। কান্না থামানোর জন্য পায়ের ওপর বাচ্চাটাকে শুইয়ে পরিবারের বড় সন্তান উপরের গ্রাম্য লোককথা সুর দিয়ে বলেন- যাতে ছোট শিশুটির কান্না থামে। এই যে বাচ্চার কান্না থামানোর দৃশ্য এবং ছড়ার আকারে কথ্য ভাষার প্রয়োগ- এটা কেবল হস্তিশুন্ড গ্রামের দৃশ্য নয়-এটা বরিশালের অনেক এলাকায়ই আছে।

আইএ, বিএ, এমএ ডিগ্রি বা ক্লাস থাকলেও ম্যাট্রিক পাস কথা বলা হলো কেন?
এখন ২০২৪ সাল। এখন থেকে ১৫০ বা ২০০ বছর আগে এদেশে তেমন স্কুল-কলেজ ছিল না। তাই শিক্ষিত লোকের সংখ্যাও কম ছিল। একসময় কোলকাতায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল। বেশি সংখ্যক মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষায় শিক্ষিত ছিল না। কোনো গ্রামের কেউ এ ধরনের পরীক্ষায় পাস করলে সবাই দূর-দূরান্ত থেকে তাকে দেখতে আসতো। তখন ম্যাট্রিক পাস মানে মানুষের কাছে অনেক ‘বড় শিক্ষিত লোক’ হিসেবে বিবেচিত হতো। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ম্যাট্রিক পাস শব্দটি তখন বেশি পরিচিত ছিল। তাই ‘ম্যাটটিক’ শব্দটি মানুষ ব্যবহার করেছে তৎকালে।

সংগ্রাহক: শাহ আলম ডাকুয়া, সংগ্রহের সময়: ১৯৮০ ইংরেজি
সংগ্রহের স্থান: ডাকুয়া বাড়ি, গ্রাম: হস্তিশুন্ড, ইউনিয়ন: বামরাইল, উপজেলা : উজিরপুর, জেলা: বরিশাল।
মোবাইল নং-০১৯৮৫-১৮৪৬৯৮

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যে ভাইকে জেল থেকে বের করেছি, সেই আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করল…

উজিরপুরের লোককথা

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

‘‘মোগো মনু ভালো
আম টোহাইতে গ্যালো
আমে অইলো আঁশ
মোগো মনু ম্যাটটিক পাস।’’

প্রেক্ষাপট: বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ‘হস্তিশুণ্ড’ একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। এ গ্রামের একটি পরিবারের সন্তান জন্ম নেয়ার পর কান্নাকাটি করছে। ছোট শিশুরা সাধারণত ৩/৪ বছর পর্যন্ত কান্না করে থাকে। কান্না থামানোর জন্য পায়ের ওপর বাচ্চাটাকে শুইয়ে পরিবারের বড় সন্তান উপরের গ্রাম্য লোককথা সুর দিয়ে বলেন- যাতে ছোট শিশুটির কান্না থামে। এই যে বাচ্চার কান্না থামানোর দৃশ্য এবং ছড়ার আকারে কথ্য ভাষার প্রয়োগ- এটা কেবল হস্তিশুন্ড গ্রামের দৃশ্য নয়-এটা বরিশালের অনেক এলাকায়ই আছে।

আইএ, বিএ, এমএ ডিগ্রি বা ক্লাস থাকলেও ম্যাট্রিক পাস কথা বলা হলো কেন?
এখন ২০২৪ সাল। এখন থেকে ১৫০ বা ২০০ বছর আগে এদেশে তেমন স্কুল-কলেজ ছিল না। তাই শিক্ষিত লোকের সংখ্যাও কম ছিল। একসময় কোলকাতায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল। বেশি সংখ্যক মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষায় শিক্ষিত ছিল না। কোনো গ্রামের কেউ এ ধরনের পরীক্ষায় পাস করলে সবাই দূর-দূরান্ত থেকে তাকে দেখতে আসতো। তখন ম্যাট্রিক পাস মানে মানুষের কাছে অনেক ‘বড় শিক্ষিত লোক’ হিসেবে বিবেচিত হতো। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ম্যাট্রিক পাস শব্দটি তখন বেশি পরিচিত ছিল। তাই ‘ম্যাটটিক’ শব্দটি মানুষ ব্যবহার করেছে তৎকালে।

সংগ্রাহক: শাহ আলম ডাকুয়া, সংগ্রহের সময়: ১৯৮০ ইংরেজি
সংগ্রহের স্থান: ডাকুয়া বাড়ি, গ্রাম: হস্তিশুন্ড, ইউনিয়ন: বামরাইল, উপজেলা : উজিরপুর, জেলা: বরিশাল।
মোবাইল নং-০১৯৮৫-১৮৪৬৯৮