ঢাকা ১১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত বেড়ে ৩১, বেশিরভাগই নারী-শিশু

  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরো শতাধিক মানুষ।

ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। মূলত গাজা নিয়ে ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়ার পর হুথিদের অবস্থান লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (১৬ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইয়েমেনের হুথিদের ওপর মার্কিন বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মূলত গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে হুথিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে পুনরায় আক্রমণ শুরু করার হুমকি দেওয়ার পরে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালাল। গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি অবরোধ তৃতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে।

হুথি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহি বলেছেন, ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং ১০১ জন আহত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

আল জাজিরা বলছে, মার্কিন বাহিনী রাতভর ইয়েমেনে প্রায় ৪০টি অভিযান চালিয়েছে। যার বেশিরভাগই হয়েছে সানার উত্তরে সাদা প্রদেশে। সাদায় প্রায় ১২টি অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনাটি ঘটেছে কাহজা জেলায়, সেখানে মার্কিন যুদ্ধবিমান দুটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং এতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে হুথি মিডিয়া আউটলেটে বলা হয়েছে।

সানা এবং বায়দায়ও অভিযান চালানো হয়েছে। সানায় একটি আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছে। সানায় কমপক্ষে আটটি অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়া বায়দায় আরো আটটি অভিযান চালানো হয়েছে এবং সেখানে লক্ষ্যবস্তু ঠিক কী ছিল তা এখনও অজানা।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী শনিবার থেকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর বড় ধরনের বিমান হামলা শুরু করে মার্কিন বাহিনী। লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার কারণেই এই বিমান হামলার বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, ইরানের অর্থায়নে এই হুথি ডাকাতরা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং আমাদের সেনা এবং বন্ধুদের লক্ষ্য করেছে। তিনি আরো লিখেছেন, তাদের ‘জলদস্যুতা, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদের’ জন্য ‘বিলিয়ন ডলার’ খরচ হয়েছে এবং অনেকের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।

গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে হামলা চালিয়েছিল হুথি গোষ্ঠী। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই হামলার পর গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তাদের বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার জবাব দেবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত বেড়ে ৩১, বেশিরভাগই নারী-শিশু

আপডেট সময় : ০৭:১৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরো শতাধিক মানুষ।

ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। মূলত গাজা নিয়ে ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়ার পর হুথিদের অবস্থান লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (১৬ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইয়েমেনের হুথিদের ওপর মার্কিন বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মূলত গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে হুথিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে পুনরায় আক্রমণ শুরু করার হুমকি দেওয়ার পরে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালাল। গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি অবরোধ তৃতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে।

হুথি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহি বলেছেন, ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং ১০১ জন আহত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

আল জাজিরা বলছে, মার্কিন বাহিনী রাতভর ইয়েমেনে প্রায় ৪০টি অভিযান চালিয়েছে। যার বেশিরভাগই হয়েছে সানার উত্তরে সাদা প্রদেশে। সাদায় প্রায় ১২টি অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনাটি ঘটেছে কাহজা জেলায়, সেখানে মার্কিন যুদ্ধবিমান দুটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং এতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে হুথি মিডিয়া আউটলেটে বলা হয়েছে।

সানা এবং বায়দায়ও অভিযান চালানো হয়েছে। সানায় একটি আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছে। সানায় কমপক্ষে আটটি অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়া বায়দায় আরো আটটি অভিযান চালানো হয়েছে এবং সেখানে লক্ষ্যবস্তু ঠিক কী ছিল তা এখনও অজানা।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী শনিবার থেকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর বড় ধরনের বিমান হামলা শুরু করে মার্কিন বাহিনী। লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার কারণেই এই বিমান হামলার বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, ইরানের অর্থায়নে এই হুথি ডাকাতরা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং আমাদের সেনা এবং বন্ধুদের লক্ষ্য করেছে। তিনি আরো লিখেছেন, তাদের ‘জলদস্যুতা, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদের’ জন্য ‘বিলিয়ন ডলার’ খরচ হয়েছে এবং অনেকের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।

গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে হামলা চালিয়েছিল হুথি গোষ্ঠী। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই হামলার পর গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তাদের বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার জবাব দেবে।