ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইভিএমে ভোট কম পড়ার কারণ খতিয়ে দেখবে ইসি

  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি এবং ভোট কম পড়ার কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। এক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে তিনি এসব কথা বলেন। ইসি সচিব বলেন, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি ছিল। এতে ভোট কম পড়ছে। ৫৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। মাঠ পর্যায়ের যে তথ্য পেয়েছি, তাতে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়নি। ব্যালট পেপারে ভোট বেশি পড়লেও ইভিএমে কম পড়ার কারণ জানতে চাইলে হুমায়ুন কবীর বলেনন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভোটারের আঙুলের ছাপ ম্যাচ করে না। এতে ভোট দিতে অসুবিধা হয়। ধীরগতি হয়। আমারা নির্বাচনের আগে মক ভোট নেই। প্রত্যাশা থাকে ভোটাররা আসবেন। কিন্তু তারা অনেকে আসেন না। আমাদের সম্মানিত মা-বাবা যারা থাকেন, তারা ভোট দিতে এলে বোঝাতে সময় লেগে যায়। ফলে বাইরে দীর্ঘ লাইন হয়। অনেকে ফেরত চলে যান।
ভোটাররা যাতে অপেক্ষা করেন, ফেরত না যান সেজন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ের মতামত চেয়েছি। এছাড়া টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যেই বৈঠকে বসব। কীভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের গতি বাড়ানো যায়, ভোট পড়ার হার বাড়ানো যায়, তা নিয়ে বসব।
ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ২২টি জেলার ৪২টি উপজেলায় মোট ২১৮টি ইউপিতে ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ১৯৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৭ হাজার ৮৪৬ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২ হাজার ৫৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মাঝে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১০০ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩২ জনসহ মোট ১৪৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত তফসিল দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ১৩৮টি ইউপিতে। মোট ৪ হাজার ৫৭৪টির মধ্যে ৪৩৬টি ইউপিতে মামলা ও সীমানা নিয়ে জটিলতা থাকায় নির্বাচন করা যায়নি। এর আগে পাঁচটি ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করেছে ইসি। সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১০ ফেব্রুয়ারি অষ্টম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইভিএমে ভোট কম পড়ার কারণ খতিয়ে দেখবে ইসি

আপডেট সময় : ০২:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি এবং ভোট কম পড়ার কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। এক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে তিনি এসব কথা বলেন। ইসি সচিব বলেন, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি ছিল। এতে ভোট কম পড়ছে। ৫৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। মাঠ পর্যায়ের যে তথ্য পেয়েছি, তাতে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়নি। ব্যালট পেপারে ভোট বেশি পড়লেও ইভিএমে কম পড়ার কারণ জানতে চাইলে হুমায়ুন কবীর বলেনন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভোটারের আঙুলের ছাপ ম্যাচ করে না। এতে ভোট দিতে অসুবিধা হয়। ধীরগতি হয়। আমারা নির্বাচনের আগে মক ভোট নেই। প্রত্যাশা থাকে ভোটাররা আসবেন। কিন্তু তারা অনেকে আসেন না। আমাদের সম্মানিত মা-বাবা যারা থাকেন, তারা ভোট দিতে এলে বোঝাতে সময় লেগে যায়। ফলে বাইরে দীর্ঘ লাইন হয়। অনেকে ফেরত চলে যান।
ভোটাররা যাতে অপেক্ষা করেন, ফেরত না যান সেজন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ের মতামত চেয়েছি। এছাড়া টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যেই বৈঠকে বসব। কীভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের গতি বাড়ানো যায়, ভোট পড়ার হার বাড়ানো যায়, তা নিয়ে বসব।
ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ২২টি জেলার ৪২টি উপজেলায় মোট ২১৮টি ইউপিতে ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ১৯৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৭ হাজার ৮৪৬ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২ হাজার ৫৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মাঝে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১০০ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩২ জনসহ মোট ১৪৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত তফসিল দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ১৩৮টি ইউপিতে। মোট ৪ হাজার ৫৭৪টির মধ্যে ৪৩৬টি ইউপিতে মামলা ও সীমানা নিয়ে জটিলতা থাকায় নির্বাচন করা যায়নি। এর আগে পাঁচটি ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করেছে ইসি। সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১০ ফেব্রুয়ারি অষ্টম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।