প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তি মানুষের হাতের মুঠোয়। যে কেউ প্রযুক্তির সহায়তায় যে কোনো কিছু ছড়িয়ে দিতে পারে খুব সহজেই। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সাইবার জগতে হেনস্তার ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে। নানা আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ইন্টারনেটে, যা ভুক্তভোগীকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার থেকে শুরু করে নানা ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর ভিডিও বা ছবি ভাইরাল হওয়া নিয়ে সবাই শঙ্কিত। বিভিন্ন উদ্যোগের পরও সাইবার অপরাধগুলো বন্ধ হচ্ছে না। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) বা মিরর ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনেকেই অনলাইনের পর্নো সাইটসহ বিপথগামী সাইটে ঢুকছেন।
ফেসবুক বা ইউটিউবের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মগুলো এতদিন ধরে দাবি করে এসেছে যে, তাদের প্রতিষ্ঠানে এক ধরনের ব্যবস্থা চালু আছে, যেখানে তারা নিজেরাই আপত্তিকর বিষয়বস্তু সরিয়ে নেন। অথচ কারও আপত্তিকর ভিডিও বা ছবি তাদের অগোচরে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। সাধারণত ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম নিজস্ব যন্ত্রের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপত্তিকর ভিডিওগুলো কেউ দেখার আগেই সরিয়ে ফেলে। প্রতিশোধ নেয়ার জন্য কেউ যখন কারও নগ্ন ছবি বা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় বা কোন জঙ্গি মতাদর্শের কিছু শেয়ার করে, তখন ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। তবে আপত্তিকর ভিডিও সরিয়ে নেয়ার জন্য সারা বিশ্বে ইউটিউব দশ হাজার লোক নিয়োগ করেছে। তাদের কাজ মনিটরিং করা এবং আপত্তিকর ভিডিও সরিয়ে নেয়া।
সম্প্রতি চ-ীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একটি অনুপযুক্ত ভিডিও সহকর্মী ছাত্রের দ্বারা ফাঁস হওয়ার পরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি প্রকাশ্যে আসার পর শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবি তুললে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। যদি কোনও এমএমএস বা আপত্তিকর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়, শীঘ্রই সেগুলো অনেক ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়। এই পরিস্থিতিতে, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু, আপনি যদি এই কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করেন, তাহলে আপনি পর্ণ সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটগুলিতে আপলোড করা এই ভিডিও এবং ছবিগুলো মুছে ফেলতে পারেন।
ইন্টারনেট থেকে গগঝ/আপত্তিকর ভিডিও যেভাবে অপসারণ করবেন : প্রথম উপায় হল নিকটস্থ থানায় অভিযোগ নথিভুক্ত করা। সংশ্লিষ্ট ভিডিও বা ছবির বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মালিককে এ বিষয়ে অবহিত করবে। আপনার অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। আরেকটি উপায় হল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মালিকের সাথে যোগাযোগ করা। আপনি এই বিষয়ে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মালিকের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। আপনি যদি সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মের মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে না পারেন, তাহলে আপনি িি.িযিড়রং.পড়স ওয়েবসাইটের সাহায্যও নিতে পারেন। এতে যেকোন সাইটের ডোমেইন নেম এন্টার করার পর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনি মালিকের সম্পূর্ণ বিবরণ পেতে পারেন। এর পরে আপনি সাইটের মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং ভিডিওটি সরানোর জন্য অনুরোধ করতে পারেন। যদি কোনও পর্ণ সাইটে কোনও ভিডিও আপলোড করা হয়, তবে ভিডিওর নীচে রিপোর্ট করার বিকল্প দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট কলামে, ভিডিওটি অপসারণের পেছনের কারণ লিখতে পারেন। এটি সাইটের মালিককে ভিডিওটি মুছে ফেলার অনুমতি দেয়।
গুগল অনুসন্ধান ফলাফল থেকে আপত্তিকর বিষয়বস্তু আপনি নিজেই সরিয়ে ফেলেতে পারবেন। গুগল সার্চ রেজাল্টে যদি কোনো আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও দেখা যায়, তাহলে আপনি সেটিও সরিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে এখানে গুগলের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যদি কেউ আপনার সম্মতি ছাড়াই কোনো ব্লগে আপনার ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে এবং আপনি এটি সরাতে চান তাহলে সেটি সরাতে সেখানে ক্লিক করে মুছে ফেলতে পারবেন।
সংবাদ শিরোনাম ::
ইন্টারনেট থেকে আপত্তিকর ভিডিও সরানোর পদ্ধতি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ