ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান ট্রাম্পের

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক :নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ সমাপ্তির আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) প্যারিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প এই আহ্বান জানান। ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ বলেছেন, ‘যুদ্ধের উভয় পক্ষই বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে আলোচনা শুরু করা উচিত। অনেক মানুষের জীবন, পরিবার অকারণে নষ্ট হচ্ছে।’ তিনি আরও দাবি করেন যে কিয়েভ প্রায় ৪ লাখ সৈন্য হারিয়েছে এবং আরও বহু সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। জেলেনস্কি টেলিগ্রামে পোস্ট করে জানান, প্যারিসে ট্রাম্পের সঙ্গে তার গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন প্রায় ৪৩ হাজার সৈন্য হারিয়েছে এবং ৩ লাখ ৭০ হাজার জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক চিকিৎসার পর আবারও দায়িত্বে ফিরে গেছেন। সংবাদ মাধ্যম অ্যাক্সিওস জানায়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ট্রাম্পকে এই বৈঠকের জন্য রাজি করান, যদিও শুরুতে ট্রাম্প এতে অনিচ্ছুক ছিলেন। ট্রাম্প নির্বাচন প্রচারণার শুরু থেকে দাবি করেছেন তিনি নির্বাচিত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ শেষ করতে পারবেন। তিনি ইতিমধ্যেই অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল কিথ কেলগকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন বিষয়ক দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তবে ট্রাম্পের নীতিমালা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি কেলগ কিয়েভ ও মস্কোর ওপর আলোচনার জন্য চাপ প্রয়োগের কথা বলেছেন এবং পুতিন আলোচনা করতে অস্বীকার করলে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন। অন্যদিকে, ট্রাম্পের কিছু ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি প্রকাশ্যে রাশিয়াপন্থী মনোভাব প্রকাশ করেছেন। প্রায় তিন বছরের যুদ্ধের পর ইউক্রেনের জনগণ ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। একটি জরিপ অনুযায়ী, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ যুদ্ধবিরোধী সমঝোতার পক্ষে, আরেক-তৃতীয়াংশ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়। বাকিরা দ্বিধায় আছেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি ট্রাম্পকে বলেছি যে আমাদের ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী শান্তি দরকার, যা রাশিয়ানরা কয়েক বছরের মধ্যে নষ্ট করতে পারবে না।’ তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শর্তগুলো ইউক্রেনের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। রাশিয়ার দাবি, ক্রিমিয়া এবং ২০২২ সালে দখল করা চারটি অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে না এবং দেশটি নিরস্ত্র থাকবে। মস্কো থেকে আসা তথ্য অনুযায়ী, পুতিনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নমনীয়তার ইঙ্গিত মেলেনি। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানায়, ‘পুতিনের পক্ষ থেকে বাস্তব সমঝোতার কোনো ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।’

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৫ আগস্টের পুরোটাই ছিল একতার অনুভূতি: প্রধান উপদেষ্টা

ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান ট্রাম্পের

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বিদেশের খবর ডেস্ক :নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ সমাপ্তির আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) প্যারিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প এই আহ্বান জানান। ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ বলেছেন, ‘যুদ্ধের উভয় পক্ষই বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে আলোচনা শুরু করা উচিত। অনেক মানুষের জীবন, পরিবার অকারণে নষ্ট হচ্ছে।’ তিনি আরও দাবি করেন যে কিয়েভ প্রায় ৪ লাখ সৈন্য হারিয়েছে এবং আরও বহু সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। জেলেনস্কি টেলিগ্রামে পোস্ট করে জানান, প্যারিসে ট্রাম্পের সঙ্গে তার গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন প্রায় ৪৩ হাজার সৈন্য হারিয়েছে এবং ৩ লাখ ৭০ হাজার জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক চিকিৎসার পর আবারও দায়িত্বে ফিরে গেছেন। সংবাদ মাধ্যম অ্যাক্সিওস জানায়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ট্রাম্পকে এই বৈঠকের জন্য রাজি করান, যদিও শুরুতে ট্রাম্প এতে অনিচ্ছুক ছিলেন। ট্রাম্প নির্বাচন প্রচারণার শুরু থেকে দাবি করেছেন তিনি নির্বাচিত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ শেষ করতে পারবেন। তিনি ইতিমধ্যেই অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল কিথ কেলগকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন বিষয়ক দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তবে ট্রাম্পের নীতিমালা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি কেলগ কিয়েভ ও মস্কোর ওপর আলোচনার জন্য চাপ প্রয়োগের কথা বলেছেন এবং পুতিন আলোচনা করতে অস্বীকার করলে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন। অন্যদিকে, ট্রাম্পের কিছু ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি প্রকাশ্যে রাশিয়াপন্থী মনোভাব প্রকাশ করেছেন। প্রায় তিন বছরের যুদ্ধের পর ইউক্রেনের জনগণ ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। একটি জরিপ অনুযায়ী, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ যুদ্ধবিরোধী সমঝোতার পক্ষে, আরেক-তৃতীয়াংশ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়। বাকিরা দ্বিধায় আছেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি ট্রাম্পকে বলেছি যে আমাদের ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী শান্তি দরকার, যা রাশিয়ানরা কয়েক বছরের মধ্যে নষ্ট করতে পারবে না।’ তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শর্তগুলো ইউক্রেনের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। রাশিয়ার দাবি, ক্রিমিয়া এবং ২০২২ সালে দখল করা চারটি অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে না এবং দেশটি নিরস্ত্র থাকবে। মস্কো থেকে আসা তথ্য অনুযায়ী, পুতিনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নমনীয়তার ইঙ্গিত মেলেনি। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানায়, ‘পুতিনের পক্ষ থেকে বাস্তব সমঝোতার কোনো ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।’