ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে কি গর্ভের শিশুর কোনো ক্ষতি হয়?

  • আপডেট সময় : ১০:৩৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: এ বিষয়ে ইবনে সিনা হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ জেসমিন আক্তার বলেন, প্রথমেই জেনে রাখা ভালো, আল্ট্রাসনোগ্রাম গর্ভের শিশুর কোনো ধরনের ক্ষতি করে না। অনেকেই মনে করেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম থেকে কোনো তেজস্ক্রিয় রশ্মি শিশুর ক্ষতি করে। কিন্তু আসলে এটা এক্সরে নয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম হচ্ছে অতি উচ্চ কম্পনসম্পন্ন শব্দ তরঙ্গ, যা সাধারণ শ্রবণ ক্ষমতার বাইরে। তিনি বলেন, একজন নারী সঠিকভাবে গর্ভাবস্থার প্রতিটি ধাপ পার করছেন কিনা, গর্ভের শিশু সুস্থ আছে কিনা, এই সব কিছুই জানা সম্ভব আল্ট্রাসনোগ্রাম করার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে যদি গর্ভের শিশু বা মায়ের কোনো বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাও বোঝা সম্ভব। আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া যায়।
কতবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা যায় জানতে চাইলে জেসমিন আক্তার বলেন, যেহেতু এর ক্ষতিকারক দিক নেই তাই যতবার ইচ্ছা ততবারই করা যায়। এটা নিয়ে চিন্তার কিছুই নেই। তবে এই পরীক্ষা কিছুটা ব্যয়বহুল অনেকের জন্য। এছাড়া মা এবং শিশুর সব সিমটম যদি স্বাভাবিক থাকে তবে দুই থেকে তিনবারের বেশি আল্ট্রাসনোগ্রাম করার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে গর্ভের সময়কাল ও প্রসবের সঠিক সময় বের করার জন্য সন্তান ধারণের ৭৮ সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। ১৬ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার করা হয়। এসময় আলট্রাসনোগ্রাম করলে বাচ্চার জন্মগত কোনো ত্রুটি আছে কি না তা জানা যায়। গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এটাও জানা যায়। বাচ্চার ওজন বাড়ছে কি না জানতে তৃতীয়বার ৩০-৩৮ সপ্তাহে আলট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেয়া হয়। জন্মের সময় বাচ্চার পজিশনসহ অন্য বিষয়গুলো সব ঠিকভাবে আছে কি না জানা যায়। হাসপাতাল-ভেদে আলট্রাসনোগ্রাম করতে সাদাকালো ৫০০ থেকে ১০০০ এবং কালার করতে ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা খরচ হয়। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর সব সময় পরিবার, কর্মক্ষেত্রসহ সবার সব ধরনের সহযোগিতা, পাশে থাকা, ভালোবাসা ও যত্ন নেয়া প্রয়োজন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গুমের তথ্য চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি কমিশনের

আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে কি গর্ভের শিশুর কোনো ক্ষতি হয়?

আপডেট সময় : ১০:৩৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: এ বিষয়ে ইবনে সিনা হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ জেসমিন আক্তার বলেন, প্রথমেই জেনে রাখা ভালো, আল্ট্রাসনোগ্রাম গর্ভের শিশুর কোনো ধরনের ক্ষতি করে না। অনেকেই মনে করেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম থেকে কোনো তেজস্ক্রিয় রশ্মি শিশুর ক্ষতি করে। কিন্তু আসলে এটা এক্সরে নয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম হচ্ছে অতি উচ্চ কম্পনসম্পন্ন শব্দ তরঙ্গ, যা সাধারণ শ্রবণ ক্ষমতার বাইরে। তিনি বলেন, একজন নারী সঠিকভাবে গর্ভাবস্থার প্রতিটি ধাপ পার করছেন কিনা, গর্ভের শিশু সুস্থ আছে কিনা, এই সব কিছুই জানা সম্ভব আল্ট্রাসনোগ্রাম করার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে যদি গর্ভের শিশু বা মায়ের কোনো বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাও বোঝা সম্ভব। আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া যায়।
কতবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা যায় জানতে চাইলে জেসমিন আক্তার বলেন, যেহেতু এর ক্ষতিকারক দিক নেই তাই যতবার ইচ্ছা ততবারই করা যায়। এটা নিয়ে চিন্তার কিছুই নেই। তবে এই পরীক্ষা কিছুটা ব্যয়বহুল অনেকের জন্য। এছাড়া মা এবং শিশুর সব সিমটম যদি স্বাভাবিক থাকে তবে দুই থেকে তিনবারের বেশি আল্ট্রাসনোগ্রাম করার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে গর্ভের সময়কাল ও প্রসবের সঠিক সময় বের করার জন্য সন্তান ধারণের ৭৮ সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। ১৬ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার করা হয়। এসময় আলট্রাসনোগ্রাম করলে বাচ্চার জন্মগত কোনো ত্রুটি আছে কি না তা জানা যায়। গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এটাও জানা যায়। বাচ্চার ওজন বাড়ছে কি না জানতে তৃতীয়বার ৩০-৩৮ সপ্তাহে আলট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেয়া হয়। জন্মের সময় বাচ্চার পজিশনসহ অন্য বিষয়গুলো সব ঠিকভাবে আছে কি না জানা যায়। হাসপাতাল-ভেদে আলট্রাসনোগ্রাম করতে সাদাকালো ৫০০ থেকে ১০০০ এবং কালার করতে ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা খরচ হয়। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর সব সময় পরিবার, কর্মক্ষেত্রসহ সবার সব ধরনের সহযোগিতা, পাশে থাকা, ভালোবাসা ও যত্ন নেয়া প্রয়োজন।