নোয়াখালী প্রতিনিধি : ‘বাস্তবায়ন করি অঙ্গীকার, জীববৈচিত্র্য হবে পুনরুদ্ধার’ এ প্রতিপাদ্যে নোয়াখালীতে বেলুন উড়িয়ে, র্যালি ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালন করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় উপকূলীয় বন-বিভাগ নোয়াখালীর আয়োজনে বন বিভাগের কার্যালয়ের সামনে থেকে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। পরে ওই স্থান থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর সহকারি বন সংরক্ষক কাজী তারিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা। সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এ এস এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুস সালাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশন করেন জেলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল। বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সালের শেষ দিকে দিবসটি পালনের জন্য ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশে এই দিবস পালন বন্ধ করে দিলে ২০০২ সালের ২২ মে পালনের জন্য দিবসটি পুনঃনির্ধারণ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সেল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ১৯৯২ সালের ২২ মে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বায়োডাইভার্সিটি (সিবিডি) চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এরপর ৫ জুন ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির ধরিত্রী সম্মেলনে সিবিডি বিভিন্ন দেশের স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ১৬৮টি দেশ সিবিডি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং সিবিডি ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। বর্তমানে এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশের সংখ্যা ১৯৫টি।