ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আকাশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কোয়ালিফায়ারে মুম্বাই

  • আপডেট সময় : ১০:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: ম্যাচের ফল নিয়ে ততক্ষণে সংশয় ছিল সামান্যই। আকাশ মাধওয়াল আরেকটি উইকেট পান কি-না, সেটিই ছিল দেখার। শেষ পর্যন্ত পারলেন এই পেসার। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার পেলেন পাঁচ উইকেট, স্রেফ ৫ রান দিয়ে! লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে উড়িয়ে আইপিএলের ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এলিমিনেটর ম্যাচে বুধবার রোহিত শর্মার দলের জয় ৮১ রানে। ১৮২ রানের পুঁজি গড়ে তারা লক্ষ্ণৌকে গুটিয়ে দেয় ১০১ রানে। চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে এ দিন ৫ উইকেট নিতে মাধওয়াল বল করেন ২১টি, এর মধ্যে ডট খেলান ১৭টি! আইপিএলের ম্যাচে সবচেয়ে কম রান দিয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড স্পর্শ করেছেন তিনি। ২০০৯ আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি গড়েছিলেন অনিল কুম্বলে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডের তালিকায় মাধওয়াল আছেন পাঁচ নম্বরে। এই ম্যাচে ছিল না কোনো ব্যক্তিগত ফিফটি। মুম্বাইয়ের হয়ে ক্যামেরন গ্রিনের ৪১ রান ম্যাচের সর্বোচ্চ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিষানকে হারায় মুম্বাই। রানের গতিতে দম দেন এরপর গ্রিন ও সূর্যকুমার যাদব। এই দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১০ ওভার শেষে মুম্বাইয়ের রান ছিল ২ উইকেটে ৯৮। এখান থেকে দুইশ ছাড়ানো স্কোর ছিল খুব সম্ভব। কিন্তু নিয়মিত উইকেট হারানোয় তা হয়নি। রোহিতকে ফিরিয়ে লক্ষ্ণৌকে প্রথম সাফল্য এনে দেওয়া আফগান পেসার নাভিন-উল-হক একাদশ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন, তিন বলের মধ্যে ফিরিয়ে দেন সূর্যকুমার ও গ্রিনকে। ২০ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় সূর্যকুমার করেন ৩৩ রান। ২৩ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় সাজানো গ্রিনের ৪১ রানের ইনিংস। প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি টিম ডেভিড। নাভিন পরে চতুর্থ শিকার ধরেন তিলক ভার্মাকে (২২ বলে ২৬) ফিরিয়ে। সূর্যকুমারের ‘ইম্প্যাক্ট বদলি’ নামা নেহাল ওয়াধেরা শেষ ওভারে ২ চার ও এক ছক্কায় ১৮২ পর্যন্ত নিয়ে যান মুম্বাইকে। ১২ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় তিনি করেন ২৩ রান।
রান তাড়ায় তিন ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় লক্ষ্ণৌ। পারেক মানকড়কে ফিরিয়ে প্রথম আঘাতটা হানেন মাধওয়াল। নিজের প্রথম ২ ওভারে তিনি ডট বল করেন ১০টি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে লক্ষ্ণৌকে টানছিলেন মার্কাস স্টয়নিস ও ক্রুনাল পান্ডিয়া। কিন্তু ৪৬ রানের এই জুটি ভাঙার পরই ধসে পড়ে তাদের ব্যাটিং। মাধওয়াল পরপর দুই বলে আয়ুশ বাদোনি ও নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান। সেটি না হলেও নিজের শেষ দুই ওভারে আরও দুটি উইকেট নিয়ে পাঁচ উইকেটের স্বাদ তিনি পেয়ে যান ঠিকই। দারুণ ইয়র্কারে এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান মহসিন খানকে বোল্ড করে ম্যাচের ইতি টেনে দেন ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। লক্ষ্ণৌ শেষ ৮ উইকেট হারায় ৩২ রানে। সর্বোচ্চ ৪০ রান করা স্টয়নিস-সহ রান আউট হন মোট তিন জন। এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল দলটির। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে আগামী শুক্রবার আহমেদাবাদে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হবে টুর্নামেন্টের সফলতম দল মুম্বাই। জয়ী দল রোববার শিরোপা লড়াইয়ে নামবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৮২/৮ (কিষান ১৫, রোহিত ১১, গ্রিন ৪১, সূর্যকুমার ৩৩, তিলক ২৬, ডেভিড ১৩, ওয়াধেরা ২৩, জর্ডান ৪, হৃতিক ০*; ক্রুনাল ৪-০-৩৮-০, গৌতম ১-০-৮-০, নাভিন ৪-০-৩৮-৪, মহসিন ৩-০-২৪-১, বিষ্ণই ৪-০-৩০-০)
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: ১৬.৩ ওভারে ১০১ (মেয়ার্স ১৮, মানকড় ৩, ক্রুনাল ৮, স্টয়নিস ৪০, বাদোনি ১, পুরান ০, হুডা ১৫, গৌতম ২, বিষ্ণই ৩, নাভিন ১*, মহসিন ০; বেহরেনডর্ফ ৩-০-২১-০, মাধওয়াল ৩.৩-০-৫-৫, জর্ডান ২-১-৭-১, গ্রিন ৩-০-১৫-০, হৃতিক ১-০-১৮-০, চাওলা ৪-০-২৮-১)
ফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৮১ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: আকাশ মাধওয়াল

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আকাশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কোয়ালিফায়ারে মুম্বাই

আপডেট সময় : ১০:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক: ম্যাচের ফল নিয়ে ততক্ষণে সংশয় ছিল সামান্যই। আকাশ মাধওয়াল আরেকটি উইকেট পান কি-না, সেটিই ছিল দেখার। শেষ পর্যন্ত পারলেন এই পেসার। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার পেলেন পাঁচ উইকেট, স্রেফ ৫ রান দিয়ে! লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে উড়িয়ে আইপিএলের ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এলিমিনেটর ম্যাচে বুধবার রোহিত শর্মার দলের জয় ৮১ রানে। ১৮২ রানের পুঁজি গড়ে তারা লক্ষ্ণৌকে গুটিয়ে দেয় ১০১ রানে। চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে এ দিন ৫ উইকেট নিতে মাধওয়াল বল করেন ২১টি, এর মধ্যে ডট খেলান ১৭টি! আইপিএলের ম্যাচে সবচেয়ে কম রান দিয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড স্পর্শ করেছেন তিনি। ২০০৯ আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি গড়েছিলেন অনিল কুম্বলে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডের তালিকায় মাধওয়াল আছেন পাঁচ নম্বরে। এই ম্যাচে ছিল না কোনো ব্যক্তিগত ফিফটি। মুম্বাইয়ের হয়ে ক্যামেরন গ্রিনের ৪১ রান ম্যাচের সর্বোচ্চ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিষানকে হারায় মুম্বাই। রানের গতিতে দম দেন এরপর গ্রিন ও সূর্যকুমার যাদব। এই দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১০ ওভার শেষে মুম্বাইয়ের রান ছিল ২ উইকেটে ৯৮। এখান থেকে দুইশ ছাড়ানো স্কোর ছিল খুব সম্ভব। কিন্তু নিয়মিত উইকেট হারানোয় তা হয়নি। রোহিতকে ফিরিয়ে লক্ষ্ণৌকে প্রথম সাফল্য এনে দেওয়া আফগান পেসার নাভিন-উল-হক একাদশ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন, তিন বলের মধ্যে ফিরিয়ে দেন সূর্যকুমার ও গ্রিনকে। ২০ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় সূর্যকুমার করেন ৩৩ রান। ২৩ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় সাজানো গ্রিনের ৪১ রানের ইনিংস। প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি টিম ডেভিড। নাভিন পরে চতুর্থ শিকার ধরেন তিলক ভার্মাকে (২২ বলে ২৬) ফিরিয়ে। সূর্যকুমারের ‘ইম্প্যাক্ট বদলি’ নামা নেহাল ওয়াধেরা শেষ ওভারে ২ চার ও এক ছক্কায় ১৮২ পর্যন্ত নিয়ে যান মুম্বাইকে। ১২ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় তিনি করেন ২৩ রান।
রান তাড়ায় তিন ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় লক্ষ্ণৌ। পারেক মানকড়কে ফিরিয়ে প্রথম আঘাতটা হানেন মাধওয়াল। নিজের প্রথম ২ ওভারে তিনি ডট বল করেন ১০টি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে লক্ষ্ণৌকে টানছিলেন মার্কাস স্টয়নিস ও ক্রুনাল পান্ডিয়া। কিন্তু ৪৬ রানের এই জুটি ভাঙার পরই ধসে পড়ে তাদের ব্যাটিং। মাধওয়াল পরপর দুই বলে আয়ুশ বাদোনি ও নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান। সেটি না হলেও নিজের শেষ দুই ওভারে আরও দুটি উইকেট নিয়ে পাঁচ উইকেটের স্বাদ তিনি পেয়ে যান ঠিকই। দারুণ ইয়র্কারে এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান মহসিন খানকে বোল্ড করে ম্যাচের ইতি টেনে দেন ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। লক্ষ্ণৌ শেষ ৮ উইকেট হারায় ৩২ রানে। সর্বোচ্চ ৪০ রান করা স্টয়নিস-সহ রান আউট হন মোট তিন জন। এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল দলটির। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে আগামী শুক্রবার আহমেদাবাদে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হবে টুর্নামেন্টের সফলতম দল মুম্বাই। জয়ী দল রোববার শিরোপা লড়াইয়ে নামবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৮২/৮ (কিষান ১৫, রোহিত ১১, গ্রিন ৪১, সূর্যকুমার ৩৩, তিলক ২৬, ডেভিড ১৩, ওয়াধেরা ২৩, জর্ডান ৪, হৃতিক ০*; ক্রুনাল ৪-০-৩৮-০, গৌতম ১-০-৮-০, নাভিন ৪-০-৩৮-৪, মহসিন ৩-০-২৪-১, বিষ্ণই ৪-০-৩০-০)
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: ১৬.৩ ওভারে ১০১ (মেয়ার্স ১৮, মানকড় ৩, ক্রুনাল ৮, স্টয়নিস ৪০, বাদোনি ১, পুরান ০, হুডা ১৫, গৌতম ২, বিষ্ণই ৩, নাভিন ১*, মহসিন ০; বেহরেনডর্ফ ৩-০-২১-০, মাধওয়াল ৩.৩-০-৫-৫, জর্ডান ২-১-৭-১, গ্রিন ৩-০-১৫-০, হৃতিক ১-০-১৮-০, চাওলা ৪-০-২৮-১)
ফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৮১ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: আকাশ মাধওয়াল