ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অযৌক্তিক ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানো কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট

  • আপডেট সময় : ০২:৫১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৮৯৪ সালের প্রিজনস অ্যাক্ট ও জেল কোডের সংশ্লিষ্ট বিধি ‘স্বেচ্ছাচারী ও অযৌক্তিকভাবে’ ব্যবহার করে সাধারণ বন্দীদের ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই বিধিবিধান প্রয়োগ করে ‘স্বেচ্ছাচারী ও অযৌক্তিকভাবে’ ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানোর বৈধতা নিয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ রুল দেন।
‘গায়েবি মামলার আসামি বিএনপি নেতা হাতকড়া পরে জানাজায়’ শিরোনামে গত ২১ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ‘ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজায় ছাত্রদল নেতা’ শিরোনামে ১৭ জানুয়ারি অপর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই দুই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কায়সার কামাল গত সপ্তাহে রিটটি করেন। কায়সার কামাল বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদকও। মায়ের জানাজায় উপস্থিত গাজীপুরের আলী আজম খান ও শরীয়তপুরের সেলিম রেজা নামে বিচারাধীন ওই দুই বন্দীকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে অমানবিকভাবে ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানোয় কেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক কারা মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের পুলিশ সুপার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শরীয়তপুরের পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আওলাদ হোসেন। আদেশের পর আইনজীবী কায়সার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুটি ঘটনা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত এবং সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ১৮৯৪ সালের প্রিজন অ্যাক্টও পরিবর্তন দরকার। যে কারণে জনস্বার্থে রিটটি করা হলে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই রুল দে

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অযৌক্তিক ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানো কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ০২:৫১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৮৯৪ সালের প্রিজনস অ্যাক্ট ও জেল কোডের সংশ্লিষ্ট বিধি ‘স্বেচ্ছাচারী ও অযৌক্তিকভাবে’ ব্যবহার করে সাধারণ বন্দীদের ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই বিধিবিধান প্রয়োগ করে ‘স্বেচ্ছাচারী ও অযৌক্তিকভাবে’ ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানোর বৈধতা নিয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ রুল দেন।
‘গায়েবি মামলার আসামি বিএনপি নেতা হাতকড়া পরে জানাজায়’ শিরোনামে গত ২১ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ‘ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজায় ছাত্রদল নেতা’ শিরোনামে ১৭ জানুয়ারি অপর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই দুই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কায়সার কামাল গত সপ্তাহে রিটটি করেন। কায়সার কামাল বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদকও। মায়ের জানাজায় উপস্থিত গাজীপুরের আলী আজম খান ও শরীয়তপুরের সেলিম রেজা নামে বিচারাধীন ওই দুই বন্দীকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে অমানবিকভাবে ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানোয় কেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক কারা মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের পুলিশ সুপার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শরীয়তপুরের পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আওলাদ হোসেন। আদেশের পর আইনজীবী কায়সার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুটি ঘটনা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত এবং সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ১৮৯৪ সালের প্রিজন অ্যাক্টও পরিবর্তন দরকার। যে কারণে জনস্বার্থে রিটটি করা হলে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই রুল দে