ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অবিবাহিতদের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি: গবেষণা

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: অবিবাহিত বা সিঙ্গেল থাকার বিষয়টি অনেকের কাছেই হয়তো আনন্দদায়ক। আবার অনেকেই সিঙ্গেল থাকার কারণে দুঃখবোধ করেন। সিঙ্গেলদের দুঃখ হয়তো আরও বাড়িয়ে তুলবে নতুন এক গবেষণার তথ্য। এই গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, অবিবাহিতদের মধ্যে পেটের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বিবাহিতদের তুলনায়। চীনের আনহুই মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট অ্যাফিলিয়েটেড হাসপাতাল দ্বারা পরিচালিত একটি নতুন সমীক্ষা এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এই গবেষণার প্রধান অধ্যাপক আমান জু জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত বিবাহিত ব্যক্তিদের বেঁচে থাকার হার অন্যান্য দল যেমন- বিধবা, অবিবাহিত, বিচ্ছিন্ন ও তালাকপ্রাপ্তদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ছিল। গবেষকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩ হাজার ৬৪৭ জন ক্যানসার রোগীর (অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়েনি) বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে এই উপসংহারে পৌঁছান। গবেষকরা জানান, বিবাহিত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্যানসার হলেও রোগী দীর্ঘায়ু পেতে পারেন। তারা দেখেছেন, ৭২ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ধরা পড়ার পর অবিবাহিতদের তুলনায় ৫ বছর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে। যদিও এ বিষয়ের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ সম্পর্কে জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন হতে পারে। তবে গবেষকরা ধারণা করেছেন, অবিবাহিত কিংবা বিধবাদের মধ্যে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণ হলো তারা নিজেদের প্রতি কম যতœবান। চিকিৎসার বিষয়ে তাদের ‘আরও মনোযোগ ও সামাজিক সহায়তা প্রয়োজন।’ অবিবাহিতদের মধ্যে শুধু পাকস্থলীর ক্যানসারই নয় আলঝাইমার রোগ ও ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। এছাড়া মানসিক চাপ, অনিদ্রা, হৃদরোগ, বিষণ্নতা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, পেটের সমস্যাসহ সাধারণ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়তে পারে।
গবেষকদের মতে, জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে সবাই সুখ অনুভব করেন। এমনকি তিনি আপনার খেয়ালও রাখতে পারেন। অসুখ হলে ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবা তার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগী সহজে ভেঙে পড়েন না। শরীরে কোনো রকম সমস্যা হলে যারা অবিবাহিত বা একা থাকেন তারা ততটাও গুরুত্ব দেন না। আর তাতেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তবে এই গবেষণার বিপরীতে অন্যান্য গবেষণা আবার সিঙ্গেল থাকার সুবিধা বিষয়ে জানাচ্ছে। তেমনই কয়েকটি গবেষণা জানাচ্ছে, একা থাকা সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে। কারণ অবিবাহিতরা বাইরে বেশি সময় কাটাতে পারেন ও বেশি মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন, তারা ভালোভাবে ঘুমাতে পারে, কম ঋণ থাকে এমনকি তাদের মানসিক চাপও কম থাকে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবিবাহিতদের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি: গবেষণা

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: অবিবাহিত বা সিঙ্গেল থাকার বিষয়টি অনেকের কাছেই হয়তো আনন্দদায়ক। আবার অনেকেই সিঙ্গেল থাকার কারণে দুঃখবোধ করেন। সিঙ্গেলদের দুঃখ হয়তো আরও বাড়িয়ে তুলবে নতুন এক গবেষণার তথ্য। এই গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, অবিবাহিতদের মধ্যে পেটের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বিবাহিতদের তুলনায়। চীনের আনহুই মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট অ্যাফিলিয়েটেড হাসপাতাল দ্বারা পরিচালিত একটি নতুন সমীক্ষা এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এই গবেষণার প্রধান অধ্যাপক আমান জু জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত বিবাহিত ব্যক্তিদের বেঁচে থাকার হার অন্যান্য দল যেমন- বিধবা, অবিবাহিত, বিচ্ছিন্ন ও তালাকপ্রাপ্তদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ছিল। গবেষকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩ হাজার ৬৪৭ জন ক্যানসার রোগীর (অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়েনি) বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে এই উপসংহারে পৌঁছান। গবেষকরা জানান, বিবাহিত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্যানসার হলেও রোগী দীর্ঘায়ু পেতে পারেন। তারা দেখেছেন, ৭২ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ধরা পড়ার পর অবিবাহিতদের তুলনায় ৫ বছর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে। যদিও এ বিষয়ের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ সম্পর্কে জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন হতে পারে। তবে গবেষকরা ধারণা করেছেন, অবিবাহিত কিংবা বিধবাদের মধ্যে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণ হলো তারা নিজেদের প্রতি কম যতœবান। চিকিৎসার বিষয়ে তাদের ‘আরও মনোযোগ ও সামাজিক সহায়তা প্রয়োজন।’ অবিবাহিতদের মধ্যে শুধু পাকস্থলীর ক্যানসারই নয় আলঝাইমার রোগ ও ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। এছাড়া মানসিক চাপ, অনিদ্রা, হৃদরোগ, বিষণ্নতা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, পেটের সমস্যাসহ সাধারণ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়তে পারে।
গবেষকদের মতে, জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে সবাই সুখ অনুভব করেন। এমনকি তিনি আপনার খেয়ালও রাখতে পারেন। অসুখ হলে ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবা তার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগী সহজে ভেঙে পড়েন না। শরীরে কোনো রকম সমস্যা হলে যারা অবিবাহিত বা একা থাকেন তারা ততটাও গুরুত্ব দেন না। আর তাতেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তবে এই গবেষণার বিপরীতে অন্যান্য গবেষণা আবার সিঙ্গেল থাকার সুবিধা বিষয়ে জানাচ্ছে। তেমনই কয়েকটি গবেষণা জানাচ্ছে, একা থাকা সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে। কারণ অবিবাহিতরা বাইরে বেশি সময় কাটাতে পারেন ও বেশি মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন, তারা ভালোভাবে ঘুমাতে পারে, কম ঋণ থাকে এমনকি তাদের মানসিক চাপও কম থাকে।