ঢাকা ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা কতটুকু বলা নিরাপদ?

  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: চাকরি করলে দিনের অন্তত আট ঘণ্টা কাটে অফিসেই। কর্পোরেট জগৎ বা বেসরকারি চাকরিক্ষেত্র হলে সেই সময় আরও বেড়ে যায়। এতক্ষণ কাজ করার সময়ে কথা না বলে তো বসে থাকা যায় না। অনেকেই সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করে থাকেন। কিন্তু কতটুকু বললে আপনি নিরাপদ সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। না-হলে যেকোনো সময় ঝামেলায় পড়তে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে মনের কথা উজাড় করে দিলে বিপদ হতে পারে। তাই কলিগদের সঙ্গে কী বলবেন আর কতটাই বলবেন তা জানাটাও জরুরি। চলুন জেনে নিই-
প্রেমের কথা
সহকর্মীদের সবার কাছেই কিন্তু প্রেমের কথা, কার সঙ্গে ডেটিং-এ যাচ্ছেন, রাতে কতক্ষণ কার কার সঙ্গে চ্যাট করছেন সবটাই উজাড় করে দেবেন না। দিনভর কাজের ফাঁকে গল্প করতে করতে অনেকের সঙ্গেই বন্ধুত্ব গাঢ় হয় ঠিকই, তবে সমস্ত ব্যক্তিগত কথা কি খোলা মনে বলে দেওয়া উচিত হবে কি না তা ভেবে দেখা দরকার। আর সহকর্মীদের সঙ্গে পরনিন্দা পরচর্চাতেও অংশ না নেওয়া ভালো। এটা মোটেও ভালো কাজ নয়। ভাবুন একবার, আপনার অনুপস্থিতিতে আপনাকে নিয়ে সমালোচনা, ঠাট্টা, তামাশা হচ্ছে, সেটা কি আপনার ভালো লাগবে?
স্বাস্থ্য সমস্যা
শরীর খারাপ সবার হয়। কারও ক্রনিক কিছু সমস্যা থাকে। অসুস্থতার কথা বসকে ও সহকর্মীদের জানাতে হবেই, সেটা প্রয়োজন। কিন্তু অসুখ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা অফিসে না হওয়াই ভালো। অসুখ মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়। কার কোন শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে কথোপকথন ঠিক নয়।
আর্থিক বিষয়
বেতন, সঞ্চয়, খরচ, কত দাম দিয়ে কী কিনলেন এগুলো কিন্তু অফিসের আলোচ্য বিষয় হতে পারে না। কার কত বেতন, ব্যাংকে কার কত টাকা রয়েছে তা তো যেকোনো মানুষেরই ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেই সব কথা সহকর্মীদের কাছে বিস্তারিত গল্প করে বলার দরকার নেই। আপনি দামী একটা টিভি কিনলেন বা হিরার গয়না, সেগুলো কি সত্যি সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার মতো! কারও মনে হতেই পারে, আপনি কিনছেন শুধু নয়, লোককে জানাচ্ছেন আপনার কত টাকা আছে।
রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ভাবনা
যেকোনো মানুষের রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। নিজস্ব ধর্মীয় ভাবনাও থাকা স্বাভাবিক। এ নিয়ে তার্কিক ও তাত্ত্বিক আলোচনার পরিসর আদৌ অফিস হতে পারে কি? সেটি তো কাজের জায়গা। তা ছাড়া রাজনৈতিক মতাদর্শ বা কার্যাবলী যখন ব্যক্তিগত, তখন তা ব্যক্তিগত বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেই ভাগ করে নেওয়া ভালো।
ক্যারিয়ার ভাবনা
ভবিষ্যত ও ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন, তা সহকর্মীদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা না করাই উচিত। সহকর্মীরা কিন্তু একই কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রচ্ছন্ন প্রতিযোগিতা থাকা খুব স্বাভাবিক। তাই ক্যারিয়ার নিয়ে বিশদে না বলাই ভালো। এতে ভবিষ্যতে আপানারই বিপদ বাড়তে পারে।
কর্মক্ষেত্রে অভিযোগ
কর্মক্ষেত্রে কোনো বিষয় নিয়ে যদি অভিযোগ থাকে বা কারও কোনো কাজ নিয়ে বিরক্তি থাকে, অফিসে তা নিয়ে চেঁচামেচি না করে বা প্রকাশ্যে কাউকে কিছু না বলে যেখানে বলা প্রয়োজন সেখানেই বলতে হবে। সবার সামনে এ নিয়ে কথা বললে কাজের পরিবেশ নষ্ট হতে পারে।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ

অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা কতটুকু বলা নিরাপদ?

আপডেট সময় : ১০:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: চাকরি করলে দিনের অন্তত আট ঘণ্টা কাটে অফিসেই। কর্পোরেট জগৎ বা বেসরকারি চাকরিক্ষেত্র হলে সেই সময় আরও বেড়ে যায়। এতক্ষণ কাজ করার সময়ে কথা না বলে তো বসে থাকা যায় না। অনেকেই সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করে থাকেন। কিন্তু কতটুকু বললে আপনি নিরাপদ সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। না-হলে যেকোনো সময় ঝামেলায় পড়তে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে মনের কথা উজাড় করে দিলে বিপদ হতে পারে। তাই কলিগদের সঙ্গে কী বলবেন আর কতটাই বলবেন তা জানাটাও জরুরি। চলুন জেনে নিই-
প্রেমের কথা
সহকর্মীদের সবার কাছেই কিন্তু প্রেমের কথা, কার সঙ্গে ডেটিং-এ যাচ্ছেন, রাতে কতক্ষণ কার কার সঙ্গে চ্যাট করছেন সবটাই উজাড় করে দেবেন না। দিনভর কাজের ফাঁকে গল্প করতে করতে অনেকের সঙ্গেই বন্ধুত্ব গাঢ় হয় ঠিকই, তবে সমস্ত ব্যক্তিগত কথা কি খোলা মনে বলে দেওয়া উচিত হবে কি না তা ভেবে দেখা দরকার। আর সহকর্মীদের সঙ্গে পরনিন্দা পরচর্চাতেও অংশ না নেওয়া ভালো। এটা মোটেও ভালো কাজ নয়। ভাবুন একবার, আপনার অনুপস্থিতিতে আপনাকে নিয়ে সমালোচনা, ঠাট্টা, তামাশা হচ্ছে, সেটা কি আপনার ভালো লাগবে?
স্বাস্থ্য সমস্যা
শরীর খারাপ সবার হয়। কারও ক্রনিক কিছু সমস্যা থাকে। অসুস্থতার কথা বসকে ও সহকর্মীদের জানাতে হবেই, সেটা প্রয়োজন। কিন্তু অসুখ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা অফিসে না হওয়াই ভালো। অসুখ মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়। কার কোন শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে কথোপকথন ঠিক নয়।
আর্থিক বিষয়
বেতন, সঞ্চয়, খরচ, কত দাম দিয়ে কী কিনলেন এগুলো কিন্তু অফিসের আলোচ্য বিষয় হতে পারে না। কার কত বেতন, ব্যাংকে কার কত টাকা রয়েছে তা তো যেকোনো মানুষেরই ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেই সব কথা সহকর্মীদের কাছে বিস্তারিত গল্প করে বলার দরকার নেই। আপনি দামী একটা টিভি কিনলেন বা হিরার গয়না, সেগুলো কি সত্যি সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার মতো! কারও মনে হতেই পারে, আপনি কিনছেন শুধু নয়, লোককে জানাচ্ছেন আপনার কত টাকা আছে।
রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ভাবনা
যেকোনো মানুষের রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। নিজস্ব ধর্মীয় ভাবনাও থাকা স্বাভাবিক। এ নিয়ে তার্কিক ও তাত্ত্বিক আলোচনার পরিসর আদৌ অফিস হতে পারে কি? সেটি তো কাজের জায়গা। তা ছাড়া রাজনৈতিক মতাদর্শ বা কার্যাবলী যখন ব্যক্তিগত, তখন তা ব্যক্তিগত বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেই ভাগ করে নেওয়া ভালো।
ক্যারিয়ার ভাবনা
ভবিষ্যত ও ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন, তা সহকর্মীদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা না করাই উচিত। সহকর্মীরা কিন্তু একই কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রচ্ছন্ন প্রতিযোগিতা থাকা খুব স্বাভাবিক। তাই ক্যারিয়ার নিয়ে বিশদে না বলাই ভালো। এতে ভবিষ্যতে আপানারই বিপদ বাড়তে পারে।
কর্মক্ষেত্রে অভিযোগ
কর্মক্ষেত্রে কোনো বিষয় নিয়ে যদি অভিযোগ থাকে বা কারও কোনো কাজ নিয়ে বিরক্তি থাকে, অফিসে তা নিয়ে চেঁচামেচি না করে বা প্রকাশ্যে কাউকে কিছু না বলে যেখানে বলা প্রয়োজন সেখানেই বলতে হবে। সবার সামনে এ নিয়ে কথা বললে কাজের পরিবেশ নষ্ট হতে পারে।