The Daily Ajker ProttashaMost Popular News portal2024-03-28T14:38:47Zhttps://ajkerprottasha.com/feed/atom/WordPresshttps://ajkerprottasha.com/wp-content/uploads/2021/04/cropped-logo-removebg-preview-32x32.pngnewsdeskhttps://ajkerprottasha.com/?p=1840732024-03-28T14:38:47Z2024-03-28T14:38:47Zনিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ উদ্বেগজনক মাত্রার দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নি¤œমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সিসা দূষণ বছরে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের অকালমৃত্যুর কারণ। বায়ুদূষণ তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের; বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ নামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নি¤œমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সিসা দূষণ বছরে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের অকালমৃত্যুর কারণ। এর ফলে বছরে ৫.২ বিলিয়ন দিন অসুস্থতায় অতিবাহিত হয়। এসব পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭.৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঘরের এবং বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮.৩২ শতাংশের সমপরিমাণ। এতে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশদূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সিসা বিষক্রিয়া শিশুদের ম¯িÍকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাষ্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। বাংলাদেশে পরিবেশদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হ¯Íক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সিসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ুদূষণ কমাতে পারে। এছাড়া পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্র্যকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি যে, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই রিপোর্টের সহ-প্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।
]]>0newsdeskhttps://ajkerprottasha.com/?p=1840702024-03-28T14:37:17Z2024-03-28T14:37:17Zনিজস্ব প্রতিবেদক : আমরা একটা কঠিন ও দুঃসময় অতিক্রম করছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি সম¯Í জাতির ওপর চেপে বসে আছে। আমাদের সকল আশা-আকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেছি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে বিএনপির উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদফার আন্দোলনে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে সমন্বিতভাবে লড়াই করতে হবে। তাহলে আমরা যে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কাজ করছি, সেই আন্দোলনে বিজয় অর্জিত হবে। ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুনুর রশিদ, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
]]>0newsdeskhttps://ajkerprottasha.com/?p=1840672024-03-28T14:36:26Z2024-03-28T14:36:26Zনিজস্ব প্রতিবেদক : অভিযানে ধরা পড়া জঙ্গিদের কেউই মাদরাসার ছাত্র নন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) এক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন আদর্শ সমাজ গঠনে সামাজিক সংগঠনের ভ‚মিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে জঙ্গি উত্থান হয়েছিল। আমরা দেখলাম অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। সবারই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাওয়ার অবস্থা। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলাম। তিনি বলেন, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সে সময় আপনাদের নিয়ে কাজ করেন। ইসলামে যে মানুষ হত্যার স্থান নেই, এ বিষয়ে তিনি আপনাদের দিয়ে জায়গায় জায়গায় সভা করেছেন। তখন আমরা সবাই এক হয়ে গিয়েছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আমরা যত জঙ্গি ধরেছি, তার মধ্যে একজনও মাদরাসার ছাত্র নন। তারা সম্ভ্রান্ত পরিবারের ও অন্য ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ। সে সময় আমরা সব ধর্মের ধর্মগুরুদের নিয়ে প্রতি বিভাগে সভা করলাম। খুব অল্প দিনের মধ্যে আমরা দেশকে সে জায়গা থেকে বাঁচিয়ে এনেছি। এখন পৃথিবীর যেখানে যাই, সবাই বলে তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছ। তিনি আরও বলেন, মুসলিমদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে মুসলিমরা ছিলেন অনন্য। আর আজ আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করি। আপনারা এখন বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন, যাতে আমরা আবার সেই জায়গাটাতে পৌঁছাতে পারি। আমরা সবাই যদি একত্রে থাকি, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারব। মুফতি মুহাম্মাদ আবুল বাশার নোমানির সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
]]>0newsdeskhttps://ajkerprottasha.com/?p=1840642024-03-28T14:31:11Z2024-03-28T14:31:11Zবিশেষ সংবাদদাতা : স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে সেই বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার প্রধান। গতকাল বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বি¯Íারিত জানান। এসময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। একনেক সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন প্রকল্পগুলো বা¯Íবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কী সুবিধা মিলবে আর কী চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো নিয়ে এখন থেকেই তৎপর থাকতে হবে। এছাড়া, যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে, সেসব প্রকল্পে দ্রæত অর্থছাড় করে সমাপ্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। সরকারপ্রধান বলেন, একনেক সভায় মিশরে চ্যান্সারি হাউস নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে প্রবাসীদের সেবাদানের জন্য বুথ ও অপেক্ষার জায়গা রাখার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, বাংলাদেশের সব জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ দ্রæত শেষ করার পাশাপাশি সেখানে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁত বোর্ডের নতুন কমপ্লেক্সে নারীদের প্রশিক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে কুড়িগ্রামের সব উপজেলার নদীভাঙন রোধ, রা¯Íাঘাট নির্মাণে ভাঙনের ঝুঁকি মাথায় রেখে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
একনেকে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন
এর আগে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত এসব প্রকল্প বা¯Íবায়নে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত), কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশ¯Íতায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ), বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়), ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিস ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিসারিস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পলিø অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়), প্রোমোটিং রিসিলিয়েন্স ফর ভালনারেবল থ্রো অ্যাসেস টু ইনফ্রাসট্রাকচার, ইমপ্রুভড স্কিলস অ্যান্ড ইনফরমেশন (প্রভাতি) (প্রথম সংশোধিত), ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ (প্রথম সংশোধিত), বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কমপ্লেক্স স্থাপন, মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স, আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (প্রথম পর্যায়)-তৃতীয় সংশোধিত প্রকল্প।
]]>0newsdeskhttps://ajkerprottasha.com/?p=1840612024-03-28T14:30:13Z2024-03-28T14:30:13Zঢাবি সংবাদদাতা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে এক লাখ দুই হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন পাস করেছেন। ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন। এই ইউনিটেরে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল। তিনি খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন। কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আসন দুই হাজার ৯৩৪টি। তার মধ্যে মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য এক হাজার ৭০৭টি, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৪৪টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৮৩টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সম্মেলনে বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।
যেভাবে ফল জানা যাবে
পরীক্ষার বি¯Íারিত ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধফসরংংরড়হ.বরং.ফঁ.ধপ.নফ ওয়েবসাইটে জানা যাবে।
এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এজন্য টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের’ জন্য উট অখঝ <ৎড়ষষ হড়>, ‘বিজ্ঞান ইউনিটের’ জন্য উট ঝঈও <ৎড়ষষ হড়>, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের’ জন্য উট ইটঝ <ৎড়ষষ হড়> এবং ‘চারুকলা ইউনিটের’ জন্য উট ঋজঞ <ৎড়ষষ হড়> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানা যাবে। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রæয়ারি ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ২৪ ফেব্রæয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিট এবং ৯ মার্চ চারুকলা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
]]>0newsdeskhttps://ajkerprottasha.com/?p=1840582024-03-28T14:29:18Z2024-03-28T14:29:18Zনিজস্ব প্রতিবেদক : ইউনেস্কোর পুরস্কার পাওয়া নিয়ে ইউনূস সেন্টার মিথ্যাচার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি বলেন, ‘পুরস্কার নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে যে ইউনেস্কো (ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে) পুরস্কার দিয়েছে। আসলে এটি ইউনেস্কোর কোনও পুরস্কার নয়। এটি আজারবাইজানের বাকুতে ইউনেস্কো সংশিøষ্ট একটি সম্মেলনে মিজ হেদভা সের নামে একজন ভাস্কর, যিনি ইসরায়েলি, তিনি একটি পুরস্কার দিয়েছেন।’ এ সম্মেলনে ইউনেস্কো কোনোভাবে জড়িত ছিল, কিন্তু কোনোভাবেই এই পুরস্কার ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে তো নয়ই, একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে সেখানে দেওয়া হয়েছে। যেটিকে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করা হয়েছে। এটি মিথ্যা। অপপ্রচার করা হয়েছে। এর আগেও এ ধরনের মিথ্যাচার ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এটি প্রথম নয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু গাজায় আজ নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। এটি নিয়ে তিনি একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি বা প্রতিবাদ করেননি।’ উলেøখ্য, স¤প্রতি ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েব পেজে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার দেওয়া হয়। তারা উলেøখ করে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গেøাবাল বাকু ফোরামে ড. ইউনূসকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু ইউনেস্কো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতর এই বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। ১১তম বাকু ফোরাম যেখানে এই সম্মাননা দেওয়ার সংবাদ প্রচার হয়েছে সেখানে ইউনেস্কোর কোনও অফিসিয়াল প্রতিনিধিত্ব ছিল না। আর ইউনূস সেন্টারের দাবি করা সম্মাননা ইউনেস্কোর কোনও পুরস্কার বা সম্মাননাও নয়। ড. ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ নামে একটি ভাস্কর্য স্মারক দেন ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের। বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এ তথ্য জানায়। তারা বলে, ইউনূস সেন্টারের এই প্রচারণা প্রতারণামূলক ও পরিকল্পিত মিথ্যাচার। এদিকে সোমালিয়ায় আটক বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার করাই মূল উদ্দেশ্য বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাহাজ সম্পর্কে শুধু এটুকু বলতে চাই, নাবিকদের মুক্ত করার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগে আছি। আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি এবং আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা এবং জাহাজ উদ্ধার করা। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ওই জাহাজে খাদ্য সংকট নেই।
]]>0newsdeskhttps://ajkerprottasha.com/?p=1840552024-03-28T14:28:38Z2024-03-28T14:28:38Zনিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর হাজারীবাগের ঝাউচর মডেল টাউনের বাসিন্দা স্বপ্না বেগম। নিজে গৃহিণী। স্বামী নুরুল ইসলাম পেশায় অটোরিকশা-চালক। দুই ছেলেমেয়ে তাবাসসুম ও তাওসীনকে নিয়ে সুখের সংসার তাদের। তাবাসসুম বড় আর তাওসীন ছোট। গত ২১ মার্চ তাদের জীবনে হঠাৎ নেমে আসে বিষণ্ন এক সন্ধ্যা। বিকালে দুই ছেলেমেয়ে খেলছিল বাসার সামনেই। সঙ্গে ছিল তাদের নানি। কয়েক মিনিটের জন্য নানি ঢুকেছিলেন বাসার ভেতরে। এই ফাঁকে বোরকা পরিহিত এক নারী দুই বছর চার মাসের তাওসীনকে কোলে তুলে নেয়। শিশুটিকে ও পাঁচ বছরের বড় বোন তাবাসসুমকে দুটি চিপস কিনে দেয় সেই নারী। তারপর বোনটিকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে চম্পট দেয় ওই নারী। পাঁচ বছরের তাবাসসুম বাসায় ঢুকে মাকে বলে তার ভাইকে কোলে নিয়ে চলে যাচ্ছে এক আন্টি। সংবিদ ফিরে আসে মায়ের। রান্না ফেলে দৌড়ে আসেন বাইরে। কিন্তু ততক্ষণে বোরকা পরিহিত সেই নারী চলে গেছে। শিশু ছেলেকে হারিয়ে শুরু হয় মায়ের কান্না। এদিক-সেদিক খোঁজাখুজি, এলাকায় মাইকিংও করা হয়। ছেলেকে না পেয়ে ছুটে যান হাজারীবাগ থানায়। অজ্ঞাত এক নারীর বিরুদ্ধে দায়ের করেন মামলা। সেই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা বিভাগ। ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আজহারুল ইসলাম মুকুল জানান, শিশু হারানো পরিবারটি নিতান্তই গরিব। কিন্তু মায়ের অনুভ‚তি তো একই। ছেলে হারানো মায়ের বিরতিহীন কান্না দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেন যেকোনোভাবে শিশুটিকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেবেন মায়ের কোলে।
ক্লুলেস অভিযান
ডিবির কর্মকর্তারা জানান, তারা প্রথমেই হাজারীবাগের ঝাউচর মডেল টাউন এলাকার সবগুলো সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। সময় মিলিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিসিটিভি ফুটেজ বিশেøষণ করেন। এক পর্যায়ে শিশু তাওসীনকে কোলে নিয়ে হাঁটতে থাকা সেই নারীর ফুটেজ পাওয়া যায়। কিন্তু শিশুটিকে চুরি করা ওই নারী নিজেকে বোরকায় এমনভাবে আবৃত করে রেখেছিলেন যে, চোখ দুটো ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না তার। ডিবির কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম মুকুল জানান, চোখ দেখে তো চেহারা বোঝা যায় না। চেহেরা বোঝা না গেলে ওই নারীকে চিহ্নিত করাও সম্ভব নয়। তারপরও তারা সিসিটিভি ফুটেজ ধরে গভীর অনুসন্ধান শুরু করেন। ওই নারী যেসব সড়ক ব্যবহার করেছে খুঁজে খুঁজে সম্ভাব্য সেসব সড়কের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। ডিবি পুলিশ জানায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফুটেজ দেখা আর বিশেøষণ করে এক পর্যায়ে তারা দেখতে পান সেই নারী একটি মোবাইল রিচার্জের দোকানে প্রবেশ করেছেন। এরপর শুরু করেন প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান। এক পর্যায়ে ওই নারীর মোবাইল নম্বরও চলে আসে ডিবি পুলিশের হাতে। ডিবির কর্মকর্তারা জানান, ওই নারী মোবাইলে যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এমন কয়েকজনকে সন্দেহের তালিকায় রেখে শুরু হয় গ্রেফতার অভিযান। এক পর্যায়ে কুমিলøা থেকে এক তরুণকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণ বোরকা পরিহিত সেই নারীর সঙ্গে কথপোকথনের বিষয়টি স্বীকার করে। সে জানায়, তার বোনের ১৩ বছর ধরে কোনও সন্তান হচ্ছে না। বোনের জন্য একটা শিশু কিনতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু ওই নারীর বাসা সে চেনে না। বাসা চেনে তার এক ভাতিজা। ওই তরুণকে নিয়ে তার ভাতিজার গ্রামের বাড়িতে যায় ডিবি পুলিশের একটি দল। ভাতিজাকে নিয়ে কুমিলøার লালমাই থানা এলাকার এক গ্রামে গিয়ে ওই নারী সুলতানা আক্তার নেহাকে আটক করেন তারা। ডিবি পুলিশ জানায়, নেহা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাওসীনকে চুরির কথা স্বীকার করে। জানায়, শাজাহান নামে এক সিএনজিচালকের কাছে ৫০ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করেছে। পরে নেহা ও তার স্বামী সাইফুলকে নিয়ে অভিযান চালানো হয় শাজাহানের বাসায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু তাওসীনকে। আটক করা হয় শাজাহানকেও। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা আক্তার নেহা জানায়, হাজারীবাগের মাহাদীনগরে তাদের নিজেদের একতলা বাড়ি। ঘটনার দিন হাজারীবাগ এলাকায় একটা মেলা চলছিল। সে মেলায় ঘোরাঘুরি করে ঝাউচর এলাকায় যায় সে। সেখানে দুটি শিশুকে খেলতে দেখে তার নানির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। নানি বাসার ভেতরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু তাওসীনকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে কোলে তুলে নেয়। দুটি চিপস কিনে একটি তাওসীনের হাতে ও আরেকটি বড় বোন তাবাসসুমের হাতে দেয়। তাওসীনকে একটু ঘুরিয়ে আনার কথা বলে তাবাসসুমকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।এরপর শিশুটিকে সোজা নিয়ে যায় নিজেদের বাড়িতে। সুলতানা আক্তার নেহা জানায়, বাসায় যাবার পথে একটি দোকানে মোবাইল রিচার্জ করে সে। তারপর বাসায় নিয়ে খাবার খেতে দেয় শিশুটিকে। যোগাযোগ করে কুমিলøার সেই তরুণের সঙ্গে। ৭০ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রির করা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু শিশুটির বয়স দুই বছরের বেশি, আর এতিম হিসেবে কোনও কাগজপত্র না থাকায় ওই তরুণ তার বোনের জন্য কিনতে অনীহা প্রকাশ করে। নেহা জানায়, পরে সে সিএনজিচালক শাজাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শাজাহানকে জানায়, শিশুটি এতিম, বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। নেহা তাকে জানিয়েছে, শিশুটিকে সে ২০ হাজার টাকায় কিনেছে এবং ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করবে। শাজাহান তাতেই রাজী হয়। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে শাজাহান জানায়, ১১ বছর ধরে নিঃসন্তান সে। অনেক চেষ্টা করেও সন্তান হয়নি তাদের। নেহার শাশুড়ির মাধ্যমে তাওসীনের কথা জানতে পারে সে। কিন্তু বয়স বেশি হওয়ায় প্রথমে কিনতে চায়নি। কিন্তু তার স্ত্রী তাওসীনকে দেখে পছন্দ করে। প্রথমে ২৯ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বাকি টাকা ঈদের পর দিতে চেয়েছে। তাকে বলা হয়েছিল শিশুটি এতিম। চুরি করা শিশু হলে সে কিনতো না। কেনার আগে স্ট্যাম্পে লিখিত নিয়েছিল। সেখানে নেহা ও তার স্বামী সাইফুল সই করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নেহা জানিয়েছে, শিশু সংগ্রহ করার জন্য সে আজিমপুরের শিশুমনি নিবাস ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিল। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালের একজন তাকে শিশু পেলে ফোন করবে বলে মোবাইল নম্বরও নিয়েছিল। ডিবি কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম মুকুল বলেন, গ্রেফতার করা আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর আগে সে কোনও শিশু চুরি করে বিক্রি করেছে কিনা, তা জানার চেষ্টা চলছে। শিশু তাওসীনের মা স্বপ্না বেগম বলেন, ‘ছেলেকে হারিয়ে আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল— আমার ছেলে আমার কোলে ফিরে আসবে। ডিবি পু্লশি আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা আমরা প্রতি কৃতজ্ঞ।’
]]>0newsdeskhttps://ajkerprottasha.com/?p=1840522024-03-28T14:27:39Z2024-03-28T14:27:39Zপ্রত্যাশা ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন রাশিয়ার ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এসভিআর) এর প্রধান সের্গেই নারিশকিন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এই সফরের কথা জানিয়েছে রুশ গুপ্তচর বিভাগ। এই সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। এসভিআর জানিয়েছে, সের্গেই নারিশকিন ২৫-২৭ মার্চ পিয়ংইয়ং সফর করেছেন। তার সফরের কথা প্রথম জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ। তিনদিন ব্যাপী এই সফরে দেশটির নিরাপত্তা প্রতিমন্ত্রী রি চ্যাং দায়ের সঙ্গেও দেখা করেছেন নারিশকিন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উন্নয়ন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে শত্রæর গুপ্তচরবৃত্তি ও চক্রান্তমূলক পদক্ষেপ মোকাবিলায় সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেসিএনএ। ২০২২ সালে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করার পর থেকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করেছেন পুতিন। তবে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা নিন্দা জানিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে পশ্চিমাদের এমন সমালোচনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে মিত্র দেশ দুটি। রাশিয়া বলছে, যেকোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে তারা। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা সম্পর্ক জোরদার করলে আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন হবে না। এর আগে, ফেব্রæয়ারি মাসে রাশিয়া জানিয়েছিল, কিম জং উনকে একটি বিলাসবহুল রুশ অরাস লিমুজিন উপহার দিয়েছেন পুতিন।
]]>0newsdeskhttps://ajkerprottasha.com/?p=1840492024-03-28T14:25:48Z2024-03-28T14:25:48Zপ্রত্যাশা ডেস্ক : সেজন্য খুলে দিতে হবে সীমান্ত। এসব বললেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। খবর ডয়চে ভেলের। মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিনি গিয়েছিলেন ইসরায়েল-গাজা সীমান্ত কেরেম শালোমে। সেখানে তিনি এমনটি বলেন। বেয়ারবক সাংবাদিকদের বলেন, গাজার পরিস্থিতি নারকীয়। দ্রুত সীমান্ত খুলে দিতে হবে এবং আরও অনেক বেশি পরিমাণে মানবিক সাহায্য পাঠাতে হবে সেখানে। তিনি জানান, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে জার্মানি বরাদ্দ বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত এক কোটি ইউরো দেওয়া হয়েছে গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। তার বক্তব্য, কোথায় সমস্যা এখনো জট পাকিয়ে আছে, তা নিয়ে আলোচনা করার সময় আর নেই। রাফা সীমান্ত দিয়ে যেসব ট্রাক গাজায় মানবিক সাহায্য নিয়ে প্রবেশ করে, সেগুলোতে তিনবার তল্লাশি চালানো হয়। সব জিনিস নামিয়ে দেখা হয়। যেভাবেই হোক এ প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে হবে। গাজায় যত দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানো দরকার, তা পৌঁছাচ্ছে না। বেয়ারবকই প্রথম কোনো বিদেশি মন্ত্রী যাকে ইসরায়েল কেরেম শালোম পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দিল। তাকে দেখানো হয়েছে, কীভাবে প্রতিদিন ১২০টি ট্রাকে মানবিক সাহায্য বোঝাই করে গাজায় পাঠানো হয়। ৭ অক্টোবরের ঘটনার আগে গাজায় প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যেত। তার মধ্যে ৩০০ ট্রাক যেত কেরেম শালোমের সীমান্ত দিয়ে। তা কমে এখন ১২০ ট্রাকে এসে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েল জানায়, প্রতি ঘণ্টায় ১২টি ট্রাক সীমান্ত পার করে। ইসরায়েল সীমান্তে দুইটি স্ক্যানারে এসব ট্রাক পরীক্ষা করা হয়। দেখা হয়, জিনিসের সঙ্গে বন্দুক, গুলি ইত্যাদি জিনিস পাঠানো হচ্ছে কি না। সংবাদসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা তাদের জানান, আরও ট্রাক পারাপার করা সম্ভব। কিন্তু ট্রাক চালানোর জন্য যথেষ্ট ফিলিস্তিনি চালক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বেয়ারবক এদিন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সেখানে দুই-রাষ্ট্র বিষয়ক রাজনৈতিক সমাধান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও দুই মন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে।
]]>0newsdeskhttps://ajkerprottasha.com/?p=1840462024-03-28T14:24:54Z2024-03-28T14:24:54Zপ্রত্যাশা ডেস্ক : নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে কুইন্স অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে এই ঘটনা ঘটেছে। ৯১১-এ কল পেয়ে সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিতে বাড়িটিতে গিয়েছিলেন পুলিশ সদস্যরা। সেখানেই ঘটলো এই অঘটন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনওয়াই ডেইলি নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মানসিক সংকটে’ ভোগা ওই তরুণ একটি কাঁচি নিয়ে পুলিশের দিকে ছুটে এসেছিল। তখন আত্মরক্ষার জন্য তার দিকে গুলি ছুড়তে বাধ্য হন তারা। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ওজোন পার্ক অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায় ওই তরুণকে লক্ষ্য করে গুলি চালান পুলিশ অফিসাররা। এক সংবাদ সম্মেলনে এনওয়াইপিডির চিফ অব পেট্রোল জন চেল বলেছিলেন, ৯১১ নম্বরে কল পাওয়ার প্রায় দুই মিনিট পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে ছেলেটিকে বশে আনার চেষ্টায় প্রাথমিকভাবে টাসার নামের একটি বৈদ্যুতিক বন্দুক ব্যবহার করেছিলেন অফিসাররা। পুলিশ প্রধান বলেন, তরুণটি ৯১১ নম্বরে কল করেছিল। তবে আইন প্রয়োগকারী সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণের মা কল করে জানিয়েছিলেন, ‘আমার ছেলেকে মাদকাসক্ত বলে মনে হচ্ছে এবং সে অস্বাভাবিক আচরণ করছে।’ চেল বলেছিলেন, ওই তরুণ একটি ‘মানসিক সংকটের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। ঘটনার আগ মুহূর্তে তার ও পুলিশের মধ্যে একটি ‘বেশ অস্থির, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। তিনি বলেন, পুলিশ যখন ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণকে হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল তখনই সে একটি ড্রয়ার থেকে কাঁচি বের করে তাদের দিকে ছুটে যায়। অফিসাররা তখন টাসার ব্যবহার করেন। তবে তখন তার মা এসে অপ্রত্যাশিতভাবে পুলিশের কাজে বাগড়া দেন। পরে চেল বলছিলেন, ‘একজন মা তো মা-ই। তিনি তার ছেলেকে সাহায্য করার জন্য ছুটে আসেন। এসময় ঘটনাক্রমে ওই তরুণের শরীর থেকে টাসারটি সরে যায় এবং মুহূর্তেই সে আবারও কাঁচিটি নিয়ে আমাদের অফিসারদের দিকে ছুটে আসে। তখন আত্মরক্ষার জন্য বন্দুক ব্যবহার করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না।’ বডি ক্যামের ফুটেজই অফিসারদের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে বলে জানান চেল। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আহত তরুণকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। সংবাদ সম্মেলনের পর এনওয়াইপিডি কাঁচিটির একটি ছবি প্রকাশ করেছিল। ঘটনার পর চেল বলেছিলেন, ‘এটি ওই তরুণ, তার পরিবার এবং আমাদের পুলিশের জন্য একটি দুঃখজনক ঘটনা ছিল। পুলিশরাও তো মানুষ।’ এসময় তিনি আরও বলেন, ‘তারা এখানে সাহায্য করতে এসেছিল। ওই তরুণকে সহযোগিতা করতে এসেছিল। তবে তারা কোনও বল প্রয়োগ করতে চায়নি।’ এই ঘটনার দ্ইু দিন আগেই এক সন্দেহভাজনের হাতে এক পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছিল। ওইদিন কুইন্স বাসস্টপেজের সামনে পার্ক করা একটি গাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে সরানোর চেষ্টা করার সময় সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি অফিসার জোনাথন ডিলারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।
]]>0