নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা সঙ্কট মোকাবেলা ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা পুনরুদ্ধারে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে)।
বাংলাদেশ ফাস্ট রিকভারি অ্যান্ড রেজিলেন্স ডেভলপমেন্ট ক্রেডিট’ এর আওতায় এই ঋণ প্রদান করছে সংস্থাট
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে জানানো হয়, সোমবার নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনিস ঋণ চুক্তিতে সই করেন। ঋণের সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ, সার্ভিস চার্জ ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ঋণটি ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ আগামী ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে ।
বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে কার্যকরভাবে উত্তরণে সরকার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, কৃষি খাত ও রপ্তানিমুখী শিল্পে প্রণোদনা দেওয়াসহ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কর্মসৃজন এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করেছে। বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের আওতায় ২৫ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়েছে, যা কোভিড ১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক উত্তরণ এবং উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডেভল্পমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের আওতায় ২ (দুই) অর্থবছরে (২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩) মোট ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেট সহায়তা পাওয়া যাবে। এর উদ্দেশ্য হলো কোভিড -১৯ এর পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য একটি আর্থিক উদ্দীপনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করা এবং ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা (জবংরষরবহপব) বাড়ানো। এ সিরিজের দুইটি সেক্টরাল ফোকাস রয়েছে, সরকারি রাজস্ব ও আর্থিক খাত এবং একটি সহনশীল অর্থনীতির জন্য জীবন এবং জীবিকার উন্নয়ন।
বিদেশি ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ কখনও ব্যর্থ হয়নি : বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিরাপদে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, ৫১ বছরের পথ চলায় বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পে ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ কখনও ব্যর্থ হয়নি। ঋণ নেওয়া ও পরিশোধের ক্ষেত্রে সব সময় বাংলাদেশ নিরাপদে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শামসুল আলম বলেন, কোনো দেশের জিডিপির ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া ঝুঁকিমুক্ত। সেই তুলনায় আমাদের ঋণ অনেক কম। আমাদের প্রবৃদ্ধির মাত্র ৪১ শতাংশ ঋণ। সুতরাং বাংলাদেশ ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদে, এক্ষেত্রে উদ্বেগের কিছু নেই। এর আগে চার হাজার ৫৪১ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্পের সব টাকা সরকারি খাত থেকে মেটানো হবে। অর্থাৎ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ঋণ নেওয়া হবে না।
বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ